নিউজ ডেস্ক
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে আন্দোলনকারী নাগরিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিয় শেষে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। জেলা নাগরিক আন্দোলনের সম্পাদক নূরুল আমিন কালাম বলেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বিজয় ট্রেনের আন্দোলন বিষয়ে বৈঠক হয়েছে।
তিনি ট্রেনের স্টাটিং পয়েন্ট আগামী ১০দিনের মধ্যে ময়মনসিংহে বহাল রাখার পক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই পূর্বঘোষিত রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে। মতবিনিয়কালে জেলা প্রশাসক বলেন, এখন নির্বাচনের সময়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলছে। যে কেউ দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। নির্বাচনের আগে কোনো বিশৃংখলা যেন না ঘটে, সে আশ্বাস চাই। একই সঙ্গে আপনাদের আশ্বস্থ করছি আপনাদের দাবী পূরণে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি পজেটিভ সংবাদ আপনারা পাবেন বলে আশা করছি। বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঁঞা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাড. খালেকুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নূরুল আমিন কালাম, জনউদ্যোগের আহবায়ক অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু, জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি শামসুল আলম খানসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমবারের মত জামালপুর স্টেশনে পৌঁছলে উল্লাস করে স্থানীয়রা।
অন্যদিকে ট্রেনটির স্টাটিং স্টেশন ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর নেওয়ার প্রতিবাদে রেললাইনে শুয়ে পড়ে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলকারীরা। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা বিজয় ট্রেনটি ময়মনসিংহ স্টেশনে আটকে থাকার পর বিষয়টি সামাধানে স্থানীয় প্রশাসন আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। তবে বুধবার আবারও জামালপুর অভিমুখে ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেয় জেলা নাগরিক আন্দোলন ও জনউদ্যোগ নামক দুটি নাগরিক সংগঠন।