নিউজ ডেস্ক
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের নাম পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, যেকোনও ঘটনা ঘটার পর ডিবি সব সময় ছায়াতদন্ত করে। রেলে নাশকতা ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে শিশুসহ চারটি তাজা প্রাণ চলে যায়।
যারা এ কাজটি করেছে, তারা ২৮ তারিখের পর থেকেই নির্বাচনকে ভুন্ডুল করার জন্য ও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্যই করেছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গায় তারা বাসায় আগুন লাগাচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। নতুন করে তারা এখন ট্রেনে আগুন লাগানো শুরু করেছে। হারুন অর রশীদ বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানো রাজনৈতিক কোনো পার্ট না। এটা একধরনের দুর্বৃত্তায়ন। যারা ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়েছে, তারা ছাড় পাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ডিবি পুলিশ কাজ করছে। অনেকের নাম পেয়েছি, আশা করছি তাদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি বলেন, ভাড়াটে হিসেবে হোক আর টাকার লোভে হোক, যারা এই কাজ করছে, সেই জায়গা থেকে সরে এসে নাশকতা ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন। কোনো বড় ভাইয়ের নির্দেশে এই কাজ করা মোটেও ঠিক নয়। আমি মনে করি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সামনে হবে।
সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। কেউ যদি নাশকতা করে, দুর্বৃত্তায়ন করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযান বিষয়ে মহানগর ডিবি প্রধান বলেন, এক-দুইটা গাড়ি গাড়িতে আগুন লাগালেই কিংবা ককটেল ফোটালেই যে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে, তা ঠিক নয়। আমরা প্রতিটি জায়গায় কাজ করছি, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছি, চেকপোস্ট রয়েছে ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, যারা নাশকতা করতে চায়, তাদের নাম-নম্বর নিয়ে আমাদের জানাবেন, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনবো। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করার পর জানানো হবে। এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। এতে পুড়ে মারা যান নারী-শিশুসহ চারজন।