নিউজ ডেস্ক
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ইসিংস ব্যবধানে হারিয়ে বছর শেষ করেছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম ম্যাচে (সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ) এসে সেই ভারতের সামনেই পড়ে গেছে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে। কেপটাউনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৩.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবেছে তারা। এই কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন রানের ইনিংস ছিল ১৮৯৯ সালে ৩৫ রানের।
বোলারদের স্বর্গ খ্যাতি পাওয়া এই মাঠ যেন উপহার দিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে একের পর এক লো স্কোরের রেকর্ড। এবার আবারও সেই রেকর্ড মাঠটি উপহার দিলো নিজেদের দল দক্ষিণ আফ্রিকাকেই। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিউল্যান্ডসের উইকেটে ঝড় তুলেছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৯ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে একাই ৬টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ৩টি নিয়েছেন মেডেন ওভার। সিরাজের পেসে আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপ।
কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে প্রোটিয়াদের সামনে ছিল সিরিজ জয়ের লক্ষ্য, সঙ্গে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করারও সুযোগ; কিন্তু ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে তারা। ভারতের হয়ে বাকি চারটির মধ্যে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ এবং মুকেশ কুমার। ইনজুরিতে ছিটকে পড়া টেম্বা বাভুমার পরিবর্তে এই টেস্টে প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিন এলগার। এটাই তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। আগের ম্যাচে ১৮৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন। হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
এবারও লক্ষ্য ছিল নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জয় উপহার দিয়ে নিজের শেষটা রাঙাবেন। কিন্তু রোহিত শর্মার সঙ্গে টস করে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে কি ভুল করলেন, তা হাড়ে হাড়েই টের পেয়েছেন এলগার। নেতৃত্বের ভার কাঁধে আসার পর পুরোপুরি ব্যর্থ তিনি নিজেও। মাত্র ৪ রান করে আউট হয়েছেন। সে সঙ্গে বিপদে ফেলে রেখে যান দলকে। দলীয় ৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিন আফ্রিকা।
এরপর ১৫ রানের মাথায় ৪ উইকেট ছিল না প্রোটিয়াদের। একে একে সাজঘরে ফেরেন চার টপঅর্ডার এইডেন মার্করাম (১০ বলে ২), ডিন এলগার (১৫ বলে ৪), টনি ডি জর্জি (১৭ বলে ২) ও বাভুমার পরিবর্তে অভিষেক হওয়া ত্রিস্তান স্টাবস (১১ বলে ৩)। এরপর খানিক বিরতি দিয়ে পঞ্চম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ডেভিড বেডিংহ্যাম (১৭ বলে ১২)। দলীয় স্কোরকার্ডে মাত্র ১২ রান যোগ করতে গিয়ে চলে যায় আরও তিনটি উইকেট। এর মধ্যে কাইল ভেরাইনি ৩০ বলে সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন। মার্কো জানসেন ৩ বলে ০, কেশভ মহারাজ ১৩ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। বাকি ৬ রান তুলতে গিয়ে বাকি ২টি উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নান্দ্রে বার্জার করেন ১১ বলে ৪ রান ও কাগিসো রাবাদা করেন ১৩ বলে ৫ রান।