নিউজ ডেস্ক
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবছর শীতের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শুরুতে শীতের প্রকোপ কম থাকলেও কিছুদিন ধরে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কাঁপছে জনজীবন। গত আট দিনেও দেখা নেই এই জেলায় সূর্যের। সন্ধ্যা থেকে থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠসহ চারদিক।
দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ফুটপাতে ও রাস্তার ধারে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। এদিকে দিন দিন ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। স্থানীয়রা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে তারা ঠিকভাবে কাজকর্ম করতে পারছেন না।
শীত নিবারণের জন্য সরকারের কাছে শীতবস্ত্রের আকুতি জানান তারা। রফিকুল ইসলাম নামে এক অটোরিকশাচালক বলেন, রাস্তাঘাটে এত কুয়াশা পড়ছে যে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শীতের জন্য অটোরিকশায় কেউ ওঠতে চাচ্ছে না। আয়-রোজগার কমে গেছে। হাসপাতালের দেয়া তথ্যমতে, শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা ৪৫ শয্যা হলেও ১৪৫ জন রোগী ভর্তি আছে। ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও এখনো শীতজনিত কারণে রোগীর সংখ্যা তেমন বাড়েনি। তবে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আগামীতে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এর জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলার ৫৪টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৪৫০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও চাহিদা অনুযায়ী আরও ৫০ হাজার কম্বল ও ২০ লাখ টাকার চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শীতে সরকারের পাশাপাশি তিনি বিত্তশালীদেরও শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।