নিউজ ডেস্ক
এ বছর ২ ম্যাচ খেলে এখনো গোল পাননি মেসি ও সুয়ারেজ। জয় পায়নি তাঁদের দল ইন্টার মায়ামিও লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ—ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা আক্রমণাত্মক জুটিগুলোর একটি। এ দুজনের জুটি বার্সেলোনাকে এনে দিয়েছে একের পর এক সাফল্য।
ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় এ জুটি আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস)। গত মৌসুমে মেসিকে নেওয়ার পর এবার জানুয়ারিতে তারা কিনেছে সুয়ারেজকেও। এর মধ্যে দুজন জুটি বেঁধে খেলেছেন দুটি ম্যাচ। কিন্তু নতুন শুরুতে এখনো গোলের দেখা পায়নি এ জুটি। এর মধ্যে প্রাক্–মৌসুমে এল সালভাদরের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে এফসি ডালাসের কাছে ১–০ গোলে হেরে বসেছে মায়ামি। মায়ামির সর্বশেষ ম্যাচে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন মেসি ও সুয়ারেজএক্স দুটি ম্যাচেই দারুণ কিছু সুযোগ এসেছিল মেসি ও সুয়ারেজের সামনে। সেসব সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি তাঁরা। কোনো ম্যাচেই অবশ্য পুরো ৯০ মিনিট খেলা হয়নি এ দুজনের। এল সালভাদরের বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষে তুলে নেওয়া হয় দুজনকে। আর ডালাসের বিপক্ষে দুজন খেলেছেন ৬৪ মিনিট পর্যন্ত। সুয়ারেজ অবশ্য মায়ামি দলে একেবারেই নতুন। এখনো মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এই উরুগুইয়ান তারকা। এটিও দলটির গোল না পাওয়ার অন্যতম কারণ।
তবে এর মধ্যেই মায়ামির গোল–খরা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন দলের কোচ জেরার্দো মার্তিনো। বলেছেন, ‘এখানে যদি কোনো উদ্বেগ থাকে, তবে সেটা গোল নিয়ে। আমরা অবশ্য দলগত শক্তি খুঁজছি, যা আমার মনে হয় ধীরে ধীলে অর্জন করছি। জেতাটা সব সময় ভালো, কিন্তু শুধু এটাই অগ্রাধিকারের বিষয় নয়।’ নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত আছেন জানিয়ে মার্তিনো আরও বলেছেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা আছে যে এ এশিয়ান সফরে আমরা কী চাই। আমরা এখন ছোটখাটো বিষয়গুলো ঠিকঠাক করায় মনোযোগ দিচ্ছি। যেখানে ফলের বাইরে আরও কিছু বিষয় আছে।’ এদিকে মায়ামির সামনে এখন আছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দুটি ম্যাচই তারা খেলবে সৌদি আরবে। ৩০ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে ইন্টার মায়ামির প্রতিপক্ষ নেইমারের ক্লাব আল হিলাল। চোটের কারণে অবশ্য নেইমারের সে ম্যাচে খেলা হবে না। আর ১ ফেব্রুয়ারি রাতে অন্য ম্যাচে মেসিদের প্রতিপক্ষ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাব আল নাসর। সে ম্যাচে রোনালদোর খেলা নিয়েও আছে শঙ্কা। এর আগে পর্তুগিজ তারকার চোটের কারণে আল নাসর চীনে তাদের নির্ধারিত ম্যাচ বাতিল করেছিল।