কামাল সুকরানা
আমের রাজধানি হিসেবে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিআই পণ্য ‘ফজলি আম উপাখ্যান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
গবেষক-লেখক জাহাঙ্গীর সেলিম রচিত গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মিলনায়তনে বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগের আয়োজনে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল আমিন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার, সাদামনের মানুষ বৃক্ষপ্রেমী কার্তিক প্রামাণিক, গবেষক-লেখক জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা কালচারাল অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সাল, লেখক-সাংবাদিক সামসুল ইসলাম টুকু, কৃষি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগের স্বত্বাধিকারী মোঃ মুনজের আলম। সাংবাদিক সামসুল ইসলাম টুকু অভিমত ব্যক্ত করে তার বক্তব্যে বলেন, আমের সুতিকাগার বলতে চাঁপাইনবাবগঞ্জকেই বুঝায়। ভৌগলিকভাবে এ জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে। সিংহভাগ এ জেলায় আম উৎপাদন হয়, যা সুমিষ্ট। যা দেশ ছাড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও এ জেলার আম যেয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, শিবগঞ্জের আদি চমচম, মনাকষার প্যাড়া, মহারাজপুরের বিখ্যাত তিলের খাজা, লাক্ষা, কাঁসা, রেশম শিল্পের সুতিকাগার জেলার ভোলাহাট উপজেলা, পরিসংখ্যানে ৬০ ভাগ রেশম উৎপাদিত হয়। এ জেলার জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতো, কিন্তু তা এ জেলাকে না দিয়ে অন্য জেলাগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জেলার যেসব পণ্য জিআই স্বীকৃতি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে কাজ করতে হবে।