বসন্ত সাঁজে পূজা-আরাধনায় নগরজুড়ে সরস্বতী পূজা পালিত

শাহিনুর রহমান সোনা,রাজশাহী

বসন্তের আগমনে ফুটে ওঠে প্রকৃতির প্রতিটি কণা। এমনকি পশু-পাখিরাও আনন্দে ভরে ওঠে। প্রতিদিন নতুন উদ্যমে সূর্যোদয় হয় এবং নতুন চেতনা দিয়ে পরের দিন আবার আশার আশ্বাস দিয়ে চলে যায়।এমন-ই দিনে রাজশাহী নগরীর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্কুল, কলেজ সহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালিত হলো সরস্বতী পূজা। হিন্দু ধর্মের শিক্ষার্থীরা সেঁজেছিল বর্ণীল সাজে।

ফাগুনের রঙে নগর জুড়ে চোখ জুড়ানো সাজে সেঁজেছিল তারা। সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর ঘোড়ামারা রেশমপট্টির জীবন বায়োলজি এবং রঞ্জিৎ একাউন্টিং এর আয়োজনে গুরুগৃহে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় সরস্বতী পূজার আয়োজন। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা রঙিন পোশাকে সজ্জিত হয়ে পূজা আরাধনায় আনন্দ মুখর সময় কাটাচ্ছেন।

আনন্দ মুখরতায় ও বর্ণীল সাজে দেখা যায় রঞ্জিৎ একাউন্টিং এর পরিচালক  রঞ্জিৎ কুমার দাস, শিক্ষক সন্তোষ কুমার, রামেক হাসপাতালের টেকনোলজিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমসর ধর, সাংস্কৃতিক কর্মী সুবোধ কবিরাজ, স্বজল শীল, উজ্জ্বল কুমার, শ্রী কমল সহ শিক্ষার্থীদের।

এসময় জীবন বয়োলজী'র পরিচালক শিক্ষক জীবন কুমার ঘোষ জানান, হিন্দু ধর্মের ছাত্রছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং ধর্মীয় দায়িত্ব বোধ থেকে এখানে প্রতিবছরই সরস্বতী পূজার আয়োজন করি আমরা। 

এই পূজা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাজকুমার সরকার বলেন, সরস্বতী পূজা হিন্দু বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে একটি অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়।

শ্রীপঞ্চমীর দিন প্রত্যুষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের গৃহ ও সার্বজনীন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু পরিবারে এই দিন শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃ তর্পণের প্রথাও প্রচলিত।

সরস্বতী শব্দের অর্থ হলো নদী। অনেক পণ্ডিতরাই মনে করেন দেবী সরস্বতী প্রথমে ছিল নদী। পরে তিনি দেবী হিসেবে পূজিত হন। তিনি চেতনা ও জ্ঞানের দেবী। আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার প্রচলন হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে।

কপিরাইট © বিডি নিউজ লাইভ ৯৯ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।