নিউজ ডেস্ক
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর ৩ মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকলেও ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট নিয়ে এখনই হাহাকার শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট দল এক যুগের বেশি সময় ধরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয় না। তাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের লড়াই দেখতে ক্রিকেটপ্রেমীদের বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপের দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকতে হয়। এই ম্যাচে টিকিটের চাহিদাও থাকে অন্য যেকোনো ম্যাচের তুলনায় বেশি। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এর ব্যতিক্রম নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মাঠে বসে দেখতে টিকিটের জন্য এরই মধ্যে হাহাকার শুরু হয়ে গেছে। আগামী ১ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর।
গতকাল টুর্নামেন্টের ১০০ দিন বাকি থাকতে ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। অগ্রিম টিকিট বুকিং শুরু হয়েছিল আরও আগে। সবচেয়ে অর্থকরী ম্যাচ হওয়ায় আইসিসি বেশির ভাগ সময় ভারত-পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রাখে। রেখেছে এবারও। আগামী ৯ জুন নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ভেন্যুর দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৪ হাজার হলেও টিকিটের জন্য এর চেয়ে ২০০ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। এবার পাবলিক ব্যালটের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করেছিল আইসিসি। সেখানে ১৬১টি দেশের ৩০ লাখ মানুষ আবেদন করেন। অবিক্রীত টিকিট কেনার শেষ দিন ছিল গত পরশু, অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ক্ষণগণনা শুরুর দিন। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন ভেন্যুতে হতে চলা ১৬ ম্যাচের মধ্যে ৯টিরই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। নিউইয়র্কে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য তিন ক্যাটাগরির অগ্রিম টিকিট ছেড়েছিল আইসিসি। স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ১৭৫ মার্কিন ডলার (১৯ হাজার ২০০ টাকা), স্ট্যান্ডার্ড প্লাস টিকিটের দাম ৩০০ ডলার (৩২ হাজার ৯০০ টাকা) এবং প্রিমিয়াম টিকিটের দাম ৪০০ ডলার (৪৩ হাজার ৯০০ টাকা)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের এমন উন্মাদনায় বেশ সন্তুষ্ট আইসিসি।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী ব্রেট জোন্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান এমনটি একটি ম্যাচ, যা নিয়ে সবার তুমুল আগ্রহ থাকে। দল দুটি যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে আসছে, এটা খুবই আনন্দের। টিকিটের জন্য মানুষের এই আগ্রহ চমৎকার ব্যাপার। ব্যালট–প্রক্রিয়াতে দেখেছি, টিকিটের বিশাল চাহিদা ছিল। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়েরা তাদের আঙিনায় (যুক্তরাষ্ট্রে) খেলতে আসছে। আমার মনে হয়, এখানকার মানুষ ব্যাপারটা এরই মধ্যে উদ্যাপন করতে শুরু করেছে।’