সারওয়ার জাহান সুমন
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণা মুক্তিকামী মানুষের কাছে লাল-সবুজ পতাকাকে মূর্তিমান করে তোলে। আর এরই মাধ্যমে বাঙালির ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হলেন একমাত্র নেতা, যিনি রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, সংস্কৃতিতে এবং জন্মে একজন পূর্ণাঙ্গ বাঙালি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ১০ টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা' র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ূন রেজা। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নূরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রথমে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ঘোষণা উপস্থাপন করেন আলিনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থী আসিফা তাসনিম অনু।
বক্তব্য রাখেন সাংবাদিকদের পক্ষে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য সারওয়ার জাহান সুমন, রহনপুর পৌর কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিমা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, তাজুল ইসলাম সোর্নাদী, মোস্তফা কামাল, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাউসার আলী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নুহ্, অফিসার ইনচার্জ গোমস্তাপুর থানা চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতাই বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। ৭ই মার্চ ছিল বাংলাদেশের একটি সূচনার অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে জানলেই বাংলাদেশকে জানা হবে। সঠিক ইতিহাস জেনে ও বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ হোক আমাদের আজকের দিনের অঙ্গীকার। সভাপতি তার বক্তৃতায় বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর অবদান। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বাঙালির জাতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন।
৭ই মার্চের অপ্রতিম ভাষণের গুরুত্ব সব দিক বিবেচনায় অনন্য এবং অসাধারণ। কারণ এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীকে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল। যা তিনার মত ক্যারিশমেটিক জনগণ নন্দিত নেতার দ্বারাই সম্ভব হয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে সঠিক ইতিহাসকে চর্চা করতে হবে। সকল কুচক্রী মহলকে প্রতিরোধ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভার পূর্বেই বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।