অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক: সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানে ব্যাংক লুট, মসজিদে হামলা ও অপহরণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে কম্বাইন্ড অভিযান শুরু করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে দুইটি অস্ত্র ও কয়েকজন সন্ত্রাসীদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে মতবিনিময় শেষে বেলা সাড়ে ১২টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে তা না জানালেও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে গতকাল রাত থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়ে গেছে, ইতিমধ্যে ২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। তিনি বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফ'র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শান্তি আলোচনা চলছিল।

দুটি মুখোমুখি সংলাপ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটালো। বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়েছে উৎসব আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিলো।

কিন্তু ২ এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটালো, মনের ভিতরে কি আছে সেটিতো জানা মুসকিল। তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি। তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে।

তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়, কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবেনা, কিন্তু সুফল ভোগ করবে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধবতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে কেএনএফ'র তান্ডবের ঘটনায় রুমা এবং থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি উপজেলাবাসীদের। হামলার ঘটনায় মামলার সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ৮টি। এরমধ্যে রুমায় ৪টি এবং থানচিতে ৪টি।

সবগুলো মামলায় আসামী অজ্ঞাত। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, রুমার ঘটনায় বাদি হয়ে মামলা করেছে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, পুলিশ ও আনসার বাদী এবং থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা, দুটি পুলিশ বাদী। তবে এখনো পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

তবে রুমা ও থানচি কোথাও নতুন করে কেএনএফ'র গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। হামলা লুটকারীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি-আলীকদম সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে চালানো হচ্ছে সাড়াশি অভিযান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তা বাহিনী কর্মকর্তারা। এছাড়া ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা-থানচি ও রোয়াংছড়ির সোনালী-কৃষি ব্যাংকের সকল লেনদেন বন্ধ রয়েছে। এই তিন উপজেলার গ্রাহকরা বান্দরবান সদর শাখায় লেনদেন করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন সোনালী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম।

কপিরাইট © বিডি নিউজ লাইভ ৯৯ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।