নিউজ ডেস্ক
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামী ৩ জুন টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে নামবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজকে সামনে রেখে জাতীয় দলের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের বড় একটি অংশ আবাহনীর হয়ে এ বছর ডিপিএলে খেলেছেন। এখন তাঁরা জাতীয় দলের সিরিজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ডিপিএলে একাদশ নামানো কঠিন হয়ে পড়েছে আবাহনীর।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আগামীকাল সাভারে শেখ জামালের বিপক্ষে মাঠে নামবে আবাহনী। সেই ম্যাচের আগে আজ গণমাধ্যমে আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও জানালেন, তাঁর একাদশ সাজানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
খেলোয়াড় নেই জানিয়ে পরে মজা করে বললেন, বয়স কম থাকলে তিনিই মাঠে নেমে যেতেন খেলোয়াড় সংকট নিয়ে আলাপের মধ্যে এক সাংবাদিক মজার ছলে বললেন, আগামীকাল সুজন আর রাজিন সালেহর অবসর ভেঙে ফেরার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না? এর উত্তরেই সুজন বলেন, ‘না, আসলে ওই বয়স তো নাই।
মন চায় খেলে ফেলি (হাসি)। (খেলে ফেলা) কঠিন, দল করাই কঠিন এখন। ১০ জন খেলোয়াড় নাই, খালেদ আর জয় ইনজুরিতে। কাজেই ১২টা খেলোয়াড় নাই। ৬ জন আছে, এই ৬ জনের সঙ্গে আগে আমি এনেছিলাম আরও তিনজন, তাদের এনেছি। তাই ৯ জন আছে।
দেখি আরও দু-একজন পাওয়া যায় কি না। স্কোয়াডে যাঁরা আছেন তাঁদের নিয়েই লড়াই করবেন জানিয়ে সুজন বলেছেন, ‘যখন আপনি শেখ জামাল বা মোহামেডানের বিপক্ষে খেলবেন কঠিন তো বটেই।
(১০ খেলোয়াড় চলে যাওয়ায়) কাগজে কলমে এখন তারা আমাদের থেকে শক্তিশালী। আমি উদ্বিগ্ন না, লড়াই করব। ইচ্ছা তো ছিল অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম বিভাগ বা প্রিমিয়ার লিগে নিবন্ধিত কোনো ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারবে না আবাহনী। এই কারণেই মূলত দুশ্চিন্তায় দলটি। এই ব্যাপারে সুজন বলেন, আমি আমার মতো করে যেখান থেকে পারি খেলোয়াড় নিয়ে আসছি। প্রথম বিভাগ যারা খেলেছে তাদের নিতে পারব না।
একদম নিবন্ধিত নয় এমন খেলোয়াড় নিতে হবে। আমি রাজশাহী থেকে নিয়ে এসেছি দুজন। চেষ্টা করছি ১২-১৩ জন জোগাড় করতে। খালেদ আর জয়ের ইনজুরি না হলে এত সমস্যা হতো না।