নিউজ ডেস্ক
চায়ের মাধ্যমে দেশে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসছে মন্তব্য করে এর উৎপাদন আরও বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, আগে যেখানে আমাদের সামান্য চা উৎপাদন হতো, সেখানে এখন চা উৎপাদন এবং গ্রহণ দুটোই বেড়েছে। এটাকে আরও কীভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, উত্তরাঞ্চলে চায়ের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেটাকে সম্প্রসারণ করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া চা বোর্ড, ক্ষুদ্র চাষিদের প্রযুক্তি সহায়তা, প্রণোদনা, সবদিক থেকে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের পাশাপাশি লালমনিরহাটেও চা বোর্ডের স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চগড়ে আঙ্গিনায়ও চা হচ্ছে, তারা তরকারিও ফলায়, চায়ের গাছও লাগায়। চা আমাদের অর্থকরী ফসল হচ্ছে। যেটা দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। চায়ের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে চা অনেক প্রিয়। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ গেছে, সন্ধ্যার পরে সব চা দোকানে ভিড় করে বসে থাকে। আমাদের নিজেদের চায়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। আমরা যা উৎপাদন করি তা রপ্তানির জন্য খুব বেশি একটা থাকে না। বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি চা খেতে পছন্দ করে। তিনি বলেন, ’৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন বিদ্যুৎ ছিল না। সেই সময় উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়, শুধু চা বাগান নয়, আমাদের শিল্প কলকারখানা যাতে ভালোভাবে চলে, এজন্য জেনারেটর উপর ট্যাক্স তুলে দিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানে চা শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনের আশ্বাসও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, চা শিল্পের গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। চা শ্রমিকরা অনাগ্রসর। তারা ভাসমান অবস্থায় আছে। তাদের আর ভাসমান থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আলাদা ফান্ড আছে, সেখান থেকে তাদের জন্য ফান্ড দেয়া হবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।