নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে যেকোনো পরিণতির জন্য সরকারকে প্রস্তত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অসুস্থ খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আজ দুপুরে ঢাকায় সমাবেশ ডাকে বিএনপি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে তাঁর হৃদযন্ত্রে পেস–মেকার বসানো হয়। এরইমধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিটি ফের সামনে এনেছে বিএনপি।
সমাবেশে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ দাবি আদায়ে রাজপথে আরও তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এর আগে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘১৫ বছর আন্দোলর করছি। অথচ যথাসময় মাঠে না থাকায় আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে পারিনি।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শুধু প্রতিবাদ সমাবেশে দাবি আদায় হবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে দাবি আদায় করতে হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির ভেতর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় তাঁর কারাদণ্ড স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় তাঁর আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেন।
এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে। তখন তাঁকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।