নিউজ ডেস্ক
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে দেইফ নিহতের বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি এখনও। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে দাবি করা হয়, গত ১৩ জুলাই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকায় বিমান হামলায় মোহাম্মদ দেইফ নিহত হন। ওই হামলার পর হামাসের আরেক কমান্ডার রাফা সালেমেহ নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তখন মোহাম্মদ দেইফ নিহত হওয়ার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
মোহাম্মদ দেইফ হামাসের সামরিক শাখা আল–কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। দেইফের জন্ম ১৯৬৫ সালে, খান ইউনিসের শরণার্থীশিবিরে। ১৯৪৮ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই শরণার্থীশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। দেইফের নাম ছিল মোহাম্মদ মাসরি। ১৯৮৭ সালের দিকে হামাসে যোগ দেন তিনি। তখন তাঁর নাম হয় মোহাম্মদ দেইফ।
গাজায় হামাসের অসংখ্য টানেল রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন দেইফ। এ ছাড়া তিনি হামাসের বোমা প্রকল্পে ভূমিকা রেখেছেন। কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় দেইফের নাম রয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টায় গুরুতর আঘাত পান দেইফ, একটি চোখও হারান।
ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নিহতের খবর প্রকাশের একদিন পর সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নিহতের খবর জানা গেল। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সকালে হানিয়ার নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে। এতে বলা হয়, তেহরানে হামলায় হানিয়া ও তাঁর এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হানিয়া।