আওয়ামী লীগের ‘ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগান্ডার’ প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল

নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ‘ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগান্ডায়’ লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল  রাতে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ অভিযোগ করেন তাঁরা।গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। এটি নগরের তালাইমারী মোড়ে গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ শেষে আবার মিছিল নিয়ে কাজলা গেটে এসে রাত সাড়ে আটটার দিকে কর্মসূচি শেষ হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘হইহই রইরই, শেখ হাসিনা গেলি কই’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘খুনি এখন দিল্লিতে, তোমার আমার জান নিতে’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘হিন্দু–মুসলিম ভাই ভাই, স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘বিজয় অর্জনের পরও পরাজিত শক্তি বসে নেই। তারা ভারত থেকে কলকাঠি নাড়ছে। দিল্লি থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে আর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা চলবে না। বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতা যখন রক্ত দিয়ে বিজয় অর্জন করতে শিখেছে, তারা এই বিজয়কে রক্ষা করতেও জানে। কোনো অবস্থাতে এই বিজয়ের ওপর আঘাত হানলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখনো দমে যায়নি। আমাদের ঘোষণা, আমরা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত ফ্যাসিবাদমুক্ত করেই ছাড়ব।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, ‘আমরা শুনেছি, আওয়ামী লীগ নাকি শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু তারা মন্দিরে হামলাকারী, চোর ও ষড়যন্ত্রকারী হয়ে ফিরে এসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই হাত বাংলার হাজার হাজার মানুষের রক্তে রঞ্জিত। আপনি তিনবার গণহত্যাকারী। আপনি পিলখানা, শাপলা চত্বর ও ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েছেন। বাংলার জনগণ আপনাকে ক্ষমা করবে না। যত দিন পর্যন্ত এ খুনি হাসিনার ফাঁসি এ বাংলার মাটিতে না হবে, তত দিন পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজপথ ত্যাগ করবে না।’

সমাবেশে রাজশাহীতে ছাত্র আন্দোলনে নিহত তিন ব্যক্তির নামে তিনটি জায়গার নামকরণ করেন শিক্ষার্থীরা। নগরের আলুপট্টি মোড়কে ‘শহীদ আলী রায়হান চত্বর’, সাগরপাড়া মোড়কে ‘শহীদ শাকিল চত্বর’, ভদ্রা মোড়কে ‘শহীদ সাকিব আনজুম চত্বর’ এবং বিজয়ের স্মৃতি হিসেবে তালাইমারী মোড়কে ‘বিজয় চব্বিশ চত্বর’ ঘোষণা কর হয়।

কপিরাইট © বিডি নিউজ লাইভ ৯৯ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।