নিউজ ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ছোট বোন শেখ রেহানাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে মো. ফরিদ শেখ নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় এ মামলা হয়।
মামলায় নাম উল্লেখ করে ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা রয়েছেন আরও ২৫০ জন। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহত ফরিদের বাবা মো. সুলতান শেখ। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আগামী পহেলা অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, জুনায়েদ আহমেদ পলক, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শেখ ফজলে নূর তাপস, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার, হাবিবুর রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, সাদ্দাম হোসেন, আবুল হাসান।
রংপুরে হত্যা মামলা, শেখ হাসিনা-রেহানাসহ আসামি ৩৫১ রংপুরে হত্যা মামলা, শেখ হাসিনা-রেহানাসহ আসামি ৩৫১
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত চার আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে তার ফলের দোকানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে মারাত্মক জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।
আশপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি।