আব্দুল কাদির
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে তোহাখানা নিয়ামতিয়া আলিম মাদ্রাসার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে মাদ্রাসার সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ তিন বস্তা কাগজ নিরাপত্তাজনিত কারণে অনত্র সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে- উপজেলার তোহাখানা মসজিদের ইমাম ও তোহাখানা নিয়ামতিয়া আলিম মাদ্রাসার খন্ডকালীন শিক্ষক সেলিম ও তোহাখানা রেস্ট হাউসের কর্মচারী সামিম হোসেন অফিস রুম থেকে সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ তিন বস্তা কাগজ স্থানান্তর করে গেস্ট হাউসে রাখেন। এ সময় বিষয়টি ছাত্র জনতার নজরে আসলে বুধবার বিকাল পর্যন্ত মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে ছাত্র জনতা। খবর পেয়ে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তি, মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক ও বিজিবি সদস্যদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। পরে ওই দুজনের কাছ তিন বস্তা কাগজ ফেরত নিয়ে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তি ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিকট সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তুলে দেন ছাত্র জনতা। সাবেক সেনা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, আব্দুল মালেক ও অফিস সহকারী সাইদুর রহমান পাঁচ বছর থেকে মাদ্রাসায় অনিয়ম করে আসছে। কোন শিক্ষক মন্ডলির কথাবার্তা তারা শুনেন না। তারা নিজের ইচ্ছামত মাদ্রাসা পরিচালনা করছে। তোহাখানা মাদ্রাসায় মামুনুর রশিদের নির্দেশে পূর্বের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তোহাখানা মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার খন্ডকালীন শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের নির্দেশে কাগজপত্র নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে তোহাখানা গেস্ট হাউসের একটি নিরাপদ স্থানে রাখি। ছাত্র জনতা বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করলে ফের অফিসে হস্তান্তর করি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, দেশে বিভিন্ন অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র অফিস কক্ষ থেকে সরিয়ে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের ভেতরে গেস্ট হাউসের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছিল। আমি চাইনা তোহাখানা মাদ্রাসার কোন ক্ষতি হোক। তাই কাগজপত্রগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।