নিউজ ডেস্ক
ভারতের তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্লেন চলাচলে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে ‘গুজব’ ওঠায় সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইট তিনটিতে তল্লাশি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সেগুলো যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) এসব ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফ্লাইট তিনটির মধ্যে দুটি ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ও একটি এয়ার ইন্ডিয়ার। ইন্ডিগোর দুটি ফ্লাইটে ২৫৮ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে একটি তল্লাশি শেষে ছেড়ে গেছে ও আরকেটি বিকেলে যাত্রা করবে।
ভারতের ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস) অনুসারে, তিনটি প্লেনেই বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে তল্লাশি শেষে এরই মধ্যে ইন্ডিগোর একটি প্লেন ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্য দুটি শিগগির ওড়ার অনুমতি পাবে।
এনডিটিভি জানায়, প্রথম নিরাপত্তা হুমকি আসে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-১১৯ এর ওপর। এটি মুম্বাই থেকে নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করার পরপরই, সোমবার ভোরে ফ্লাইটটি জরুরিভিত্তিতে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক (আইজিআই) বিমানবন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরপর যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এসময় প্লেনটি একটি বিচ্ছিন্ন রানওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি বোম্ব স্কোয়াড ও অন্য নিরাপত্তা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত তল্লাশি শুরু করে।
এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, সোমবার মুম্বাই থেকে জেএফকে বিমানবন্দরের জন্য পরিচালিত ফ্লাইট এআই-১১৯ একটি সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা সতর্কতা পায়। এরপর সরকারের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক কমিটির নির্দেশে প্লেনটি দিল্লিতে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফ্লাইটটির সব যাত্রী নিরাপদে নেমে গেছেন ও দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে অবস্থান করছেন।
এরই মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে তারা নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করছে। এখন পর্যন্ত এয়ারলাইন থেকে আর কোনো আপডেট দেওয়া হয়নি।
এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি মুম্বাইয়ের আরও দুটি ইন্ডিগো ফ্লাইটও বোমা হামলার হুমকি পায়। তাদের মধ্যে ফ্লাইট ৬ই-১২৭৫ ওমানের রাজধানী মাস্কাটের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল ও ফ্লাইট ৬ই-৫৬ এর গন্তব্য ছিল সৌদি আরবের জেদ্দা।
ইন্ডিগোর একজন মুখপাত্রের মতে, দুটি প্লেনকেই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে মুম্বাই বিমানবন্দরের বিচ্ছিন্ন একটি রানওয়েতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে মাস্কাটগামী প্লেনটি এরই মধ্যে ছেড়ে গেছে।