নিউজ ডেস্ক
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হজরত আলী। রাজধানীর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক তিনি। মা-বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে বিয়ে করবে তা-ও আবার হেলিকপ্টারে চড়ে। সেই স্বপ্নপূরণ করলেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ।
হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করে তাক লাগিয়ে দেন এলাকাবাসীকে। পূরণ করলেন মা-বাবার স্বপ্ন। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের রফিকুল আকন্দ ও সালমা বেগম দম্পতির ছেলে হজরত আলী। রফিকুল আকন্দ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য।
গতকাল শুক্রবার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর (পুর্বপাড়া) গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। এনামুল হক ও শেফালি বেগম দম্পতির মেয়ে রেফা মনির (১৮) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। হজরত আলী নিকট আত্মীয় ও স্থানীয়রা জানান হজরত আলী মা-বাবার একমাত্র ছেলে।
হজরতের জন্মের পর থেকে তাঁরা স্বপ্ন বোনেন ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করাবেন। মা-বাবার স্বপ্নপূরণে গতকাল বিকেলে আকাশ পথে গিয়ে বিয়ে করলেন হজরত আলী।
বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। এ সময় বর ও কনের বাড়িতে হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। এদিকে হেলিকপ্টারে চড়ে বর আসায় খুশি মেয়ের মা ও বাবা। তাঁরা জানান, জামাই হেলিকপ্টার চড়ে মেয়েকে বিয়ে করায় তাঁরা গর্বিত।
যৌতুকবিহীন এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বর হজরত আলী বলেন আমার মা-বাবার স্বপ্নপূরণ করলাম। হেলিকপ্টার চড়ে বিয়ে যেন আমি করি এটাই তাদের লালিত স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নপূরণ করতে পেয়ে অনেকটা খুশি লাগছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
উপজেলার স্থানীরা বলেন মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে পূরণ করাটা সবার ভাগ্যে হয় না। তবে পরিশ্রম করলে একদিন সফলতা আসবেই। জীবনে লালিত করা স্বপ্ন পূরণ হবে। এর বাস্তব উদাহরণ পোশাকশ্রমিক হজরত আলী তাঁর মা-বাবার স্বপ্নপূরণ করলেন।
এদিকে বরের বাবা রফিকুল আকন্দ ও মা সালমা বেগম বলেন হজরত আলী ছাড়া আমাদের আর কোনো ছেলেসন্তান নেই। ছেলেকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করানোটাই ছিল স্বপ্ন। সেই ইচ্ছে পূরণে ধন্য মনে হচ্ছে।