নিউজ ডেস্ক
দিনাজপুরে মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্রের পায়ুপথ ফেটে রক্তক্ষরণ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলামকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গতকাল দিবাগত রাতে এ ঘটনায় আটক শিক্ষক রবিউল ইসলাম দিনাজপুর শহরের ঠোঙ্গাপট্টি এলাকার তা’মীরুল উম্মাহ্ মাদ্রাসার শিক্ষক ও উপশহর এলাকার বাবুল হোসেন বাবলুর ছেলে।
দিনাজপুর শহরের ঠোঙ্গাপট্টি এলাকার তা’মীরুল উম্মাহ্ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, দিনাজপুর পৌর শহরের ঠোঙ্গাপট্টি এলাকার তা’মীরুল উম্মাহ্ মাদ্রাসা সোমবার দুপুরে একা পেয়ে ভুক্তোভোগী ৮ বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে কৌশলে নিজের শোবার ঘরে ডেকে নেয় শিক্ষক রবিউল ইসলাম। জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা চালানোর একপর্যায়ে ওই ছাত্রের পায়ুপথ ফেটে রক্ত বের হয়। পরে রবিউল বলৎকারের শিকার শিশুটিকে কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
বাড়িতে যাওয়ার পর বিকেলে শিশুটির মা তার পায়ুপথে রক্ত ঝরতে দেখে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে পরে শিশুটিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনার বিষয়টি জানতে শিশুটির বাবা মাদ্রাসায় গেলে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউলকে উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দেয়।
অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে স্থানীয়রা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। একই সাথে অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন স্থানীয়রা।
তা’মীরুল উম্মাহ্ মাদ্রাসা, দিনাজপুরের পরিচালক মাসুদ রানা ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ জিন্নাহ আল মামুন জানান, আটক মাদ্রাাসার শিক্ষক রবিউল ইসলামকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।