নিউজ ডেস্ক
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের প্রভাব নেই ডিম ও মুরগির বাজারে। খামারিরা বলছেন, ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচের চেয়ে দাম কম হওয়ায় লোকসানে পড়তে হবে তাঁদের।
সরকার নির্ধারিত দামে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় বিক্রির কথা থাকলেও, বিভিন্ন জেলার বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা ঠিক করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থকে ৩০০ টাকা কেজিতে। তবে বেশিরভাগ বাজারেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে সরকারের বেধে দেওয়া দামে।
খামারিরা বলছেন, বর্তমান সরকারের নির্ধারিত দামে ডিম-মুরগি বিক্রি করে লাভবান হতে হলে নজরদারি প্রয়োজন। বেশি দামে কাঁচামাল কিনে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম-মুরগি উৎপাদন করে তাঁদের লোকসান গুনতে হবে। এক খামারি বলেন, ‘মুরগির ডিম উৎপাদন করতে যে খরচ সেই খরচটা বিবেচনা করে সরকারকে আরেকটু দাম যদি বাড়ায় দিত, তাহলে আমাদের মতো খামারিদের একটু ভালো হতো।’
আরেক খামারি বলেন, ‘বাজার তদারকি করার অবশ্যই দরকার আছে। কারণ বাজারে আমরা যে দামে মাঝেমাঝে পাই, যারা ডিম কেনে তারা তো আসলে অতিরিক্ত দামে কেনে। আমরা তো আসলে ওই দামটাও পাই না। অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতা ও আড়তদাররা বলছেন, বড় কোম্পানির সিন্ডিকেট থাকায় ডিমের দাম কমছে না।