নিউজ ডেস্ক
বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বন্ধ থাকা পাটের মিলগুলো উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দ্রুত উৎপাদনের আওতায় আনা হবে। দীর্ঘমেয়াদি লিজে বিনিয়োগকারীরা টেক্সটাইলসহ অন্যকিছু করতে পারেন। এখন পাটের চাহিদা বাড়ছে। এ খাতে বেশি বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুটি মিলের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আর আর টেক্সটাইল মিল, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী টেক্সটাইল মিল, রাজশাহী পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ টেক্সটাইল (বিটিএমসি) এর সাথে যথাক্রমে প্রাণ-আরএফএলের দুটি অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম, আর আর টেক্সটাইল লিঃ এবং বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিঃ এর চুক্তি সই ও মিল হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিল দুটির হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আমার পক্ষ থেকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। বন্ধ মিলগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করে কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয়, সামাজিক উন্নয়নসহ শিল্পায়নের প্রসারে সুফল পাওয়া যাবে। বিনিয়োগকারীদের বন্ধ থাকা মিলগুলোতে আগামীতে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, বর্তমানে বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণে ২৫টি মিল রয়েছে। বস্ত্র খাতের সঙ্গে পাট খাতের বহুমুখী পণ্য সমাদৃত। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সক্ষমতা ভালো এবং আগামীতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এ খাতে আরও বিনিয়োগ করবে বলে আশা করি।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বলেন, মিল দুটি চালুর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এখানে গ্রিন ফ্যাক্টরি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
চুক্তির আওতায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এই দুটি মিল আগামী ৩০ বছর মেয়াদে কার্য পরিচালনা করবে। এছাড়া এ চুক্তি ১০ বছর বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। দুটি মিলের মধ্যে চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিলের আয়তন ১৯ একর এবং রাজশাহী টেক্সটাইল মিলের আয়তন ২৬ একর। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ প্রয়োজনীয় সংস্কার করে আধুনিক টেক্সটাইল মিল হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটিকে গড়ে তুলবে। মিল দুটিতে প্রায় দশ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অনুষ্ঠানে বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা বেগম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, সুব্রত শিকদার, এ, এন, এম, মঈনুল ইসলামসহ বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।