চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৫ প্রার্থীর ১০ জনেরই নির্ধারিত ভোট না পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এদিকে একইদিনে অনুষ্ঠিত হওয়া নাচোল উপজেলার কোনো প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৮ মে। ইসির বিধি অনুযায়ী ভোট না পাওয়ায় ১০ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দুজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী মোসা. মাহফুজা খাতুন, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. হালিমা খাতুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মু. নজরুল ইসলাম, মো. মাসুদ পারভেজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসা. জোহনা খাতুন, মোসা. শামীমা বেগম ও মোসা. শিরিন আকতার।
অন্যদিকে, ভোলাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মহা. শরিফুল ইসলাম, ভোলাহাট বিএনপির একাংশ আহ্বায়ক মোহাম্মদ বাবর আলী ও মোহা. আব্দুল গাফফার আলীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী বিধির নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় গোমস্তাপুর উপজেলার সাত ও ভোলাহাট উপজেলার তিনজনসহ মোট ১০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে নাচোল উপজেলার কোনো প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে না।