News Desk
একহাতের কবজি না থাকলেও থেমে নেই জীবন সংগ্রাম। কারোরে ওপর বোঝা হয়ে না থেকে নিজেই ধরেছেন সংসারের হাল। এখন সংসারে থাকা পাঁচজনই নির্ভরশীল তার ওপর। বলছি সাকিল হোসেন (৪০) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের কথা। জানা যায়, অটোরিকশাচালক সাকিল হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের পাঠানপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম নান্নু শেখ। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সাকিল তৃতীয়। খুব ছোটবেলায় সাকিলের বাবা মারা যান। এরপর ভাইয়েরা যে যার মতন আলাদা হয়ে যান। তাই অল্প বয়সেই শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। বর্তমানে তার সংসারে রয়েছে স্ত্রী ও তিন সন্তান। সাকিল হোসেন বলেন, জন্মের সময় আমার ডান হাতের কবজি ছিল না। এছাড়া বাবার আর্থিক অবস্থায় ভালো না হওয়ার কারণে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। এমনকি ছোটবেলায় বাবা মারা যান। ভাইয়েরাও আলাদা হয়ে যান। ১৫ বছর বয়স থেকেই নেমে পড়ি জীবন যুদ্ধে। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানো শিখি। ২০ বছর ধরে অটোরিকশা চালিয়েই সংসার চালাচ্ছি। কষ্ট হলেও সম্মান নিয়ে চলতে পারি। কারোর উপর নির্ভর করতে হয় না। আমি এখন দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তিনি আরও বলেন, পেটের তাগিদে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরাইল-নাসিনগর সড়কে অটোরিকশা চালাই৷ আমার অটোরিকশাটি ভাড়া নেওয়া। মালিকের ভাড়া দিয়ে যা আয় থাকে তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। কোনো দিন আয় থাকে ৪০০ টাকা, আবার কোনো দিন থাকে ৫০০/৬০০ টাকা। কিন্তু জিনিস পত্রের যে দাম, এ আয় দিয়ে সংসার চালানো অনেক কষ্টের। এর মধ্যে এখন আবার শুরু হয়েছে হরতাল-অবরোধ। রাস্তায় মানুষের চলাচল কম। কোনো দলই গরিবের কথা ভাবে না।