শিবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বাল্যবিবাহ, শিশুর প্রতি সংহিসতা বন্ধ, শিশু অধিকার ও সুরক্ষা এবং বাল্যবিবাহ মুক্ত এলাকা করনে আলোচনা ও করনীয় পরিকল্পনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবী, ব্যবসায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নারী উদ্যোক্তা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিসেফের অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সহোযোগিতায় স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ(এসএসবিসি) প্রকল্পের আয়োজনে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রোগ্রাম অফিসার মি. উত্তম মন্ডল এর চঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ আজহার আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিবগঞ্জ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ নুরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শিবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান।
কর্মশালায় প্রোগ্রাম অফিসার মি. উত্তম মন্ডল প্রজেক্টর এর মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বলেন, বিগত সময় শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব শফিকুল ইসলাম এর সময়ে শিবগঞ্জকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল আপনারা চাইলে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং বিভিন্ন জায়গায় বিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষণার বিলবোর্ড স্থাপন করা যেতে পারে, এ মর্মে উপস্থিত সকলের সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
বাল্যবিবাহ বন্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম বলেন, আজকে এসবের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বন্ধের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে তবে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে যেমন জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যুর সনদ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। তেমনি বিয়ের বিষয়ে ও রেজিস্ট্রেশন জরুরী চালু করা দরকার বলে মনে করি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সাকিল হাসান বলেন, সামাজিকভাবে বাল্যবিবাহের আইন প্রয়োগ করতে হবে। বাল্যবিবাহ হওয়ার দুই বছর পর্যন্ত জানতে পারেল আইন প্রয়োগ করতে হবে তবে বাল্য বিবাহ বন্ধ হতে পারে।
এছাড়াও উপস্থিতিদের মধ্যে আরও আলোচনা করেন, কানসাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেফাউল মূলক, ধাইনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজম আলী সহ আরও প্রমুখবাল্যবিয়ে বন্ধের ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে বাল্যবিবাহ বন্ধের প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। এবং মেয়ের অবিভাবকের সচেতন হতে হবে তাহলেই বাল্যবিবাহ বন্ধ হবে।
এছাড়াও কর্মশালায় বাল্যবিয়ে ও শিশু সহিংসতা বন্ধে ৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ব্যবস্থায় সোচ্চার হন ।