চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচনা সভা ও কুরআন বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে ইসলামি ছাত্র শিবির।
গতকাল রোববার (১১ মে) শহরের শহীদ ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। বক্তব্যে তিনি ১১ মে ‘কুরআন দিবস’কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, “১৯৮৫ সালে ভারতে কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ রাজপথে নামতে চাইলে এরশাদ সরকার ভারতের সন্তুষ্টির জন্য গণহত্যা চালায়। পুলিশ ও বিডিআরের গুলিতে ৮ জন শহীদ হন, আহত হন শত শত মানুষ। এমনকি আহতদের চিকিৎসার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।”
তিনি অভিযোগ করেন, “২০১৬ সালে আওয়ামী লীগ জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে একই দিনে ফাঁসি দিয়ে কুরআন দিবস পালন বন্ধ করতে চেয়েছিল। এরশাদ ও হাসিনা উভয়ই ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত ছিল। তারা ইসলাম ও কুরআনের চরম দুশমন।”
তিনি আরও বলেন, “কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে দুর্নীতি, অন্যায়, সন্ত্রাস ও বৈষম্য কখনোই দূর হবে না। কুরআনের আলোই পারে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে।” এসময় তিনি কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক, ইসলামি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “১৯৮৫ সালের ১১ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ কুরআনের সম্মান রক্ষায় রাস্তায় নামলে সরকার এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। সেই থেকে দিনটি কুরআন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে শিবির।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ তরুণ সমাজকে ধ্বংস করতে মাদক ছড়িয়েছে। আর শিবির নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে তাদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলছে। কুরআনের আলো নিভাতে যারা চায়, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামি ছাত্র শিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ। এতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
এদিকে ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে শহরের নিমতলা ঈদগাহ ময়দানে সাধারণ ছাত্রদের মাঝে কুরআন বিতরণ করা হয়।