হুমায়ূন কবীর
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস , ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ , ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
৩ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা সরকারি গ্রন্থাগার মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।কৃষ্ণ গোবিন্দপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আমিনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ডক্টর ইমদাদুল হক মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ কালেক্টরেট ইংলিশ স্কুল এর উপাধ্যাক্ষ সাদিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা একটি শিক্ষানুরাগী জেলা। একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি জিয়াউল হক এর উদাহরণ দিয়ে তার স্লোগান টি বলেন "বেচি দই কিনি বই"। জিয়াউল হক কতটুকু শিক্ষানুরাগী নিজে পড়াশুনা না করেও দুই বিক্রি করে লাইব্রেরী গড়ে তুলেছেন। একুশে পদক প্রাপ্ত জিয়াউল হক এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আমরা সাধারণত পুরুস্কার হিসেবে বই দিয়ে থাকি। এই বই সাজিয়ে রাখার জন্য নয় এই বই পড়তে হবে যারা পুরস্কার পাচ্ছ তারা অবশ্যই পুরস্কারের বই পড়বে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যেও তিনি বলেন যতটুকু সময় পাওয়া যায় দিনে অন্তত যেকোনো ধরনের বই পড়তে হবে। বই পড়লে মানসিকতা রুচিবোধ সৃজনশীলতার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
রচনা প্রতিযোগিতা নিয়ে তিনি বলেন যতগুলো প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এই খাতাগুলো আমি নিজেই দেখে একটা জিনিস বুঝতে পারি এটা কপি পেস্ট ছাড়া আর কিছুই নাই। আমাদেরকে এই কপি পেস্ট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, আর এখান থেকে বের করতে পারে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বই। লাইব্রেরীতে যারা পুরস্কার নিতে এসেছো তারা অবশ্যই এই লাইব্রেরীতে এসে বই পড়বে। প্রথম হয়ে লাভ নেই পিছিয়ে পড়ারাই পৃথিবী চেঞ্জ করে দিতে পারে বই পড়লে সকল কিছুর পরিবর্তন আনা সম্ভব। তিনি আরও বলেন বই নিয়ে ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখার জন্য না। বই পড়ে বইয়ের মলাট ছিড়ে ফেলতে হবে। সকলকে বই পড়ার অনুরোধ জানান তিনি।
আলোচনা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন অতিথিরা।
বিজয়ীরা হলো -একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতায়( ক গ্রুপ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী) প্রথম - তাজকিয়া, দ্বিতীয়- আবিদা রিফা, তৃতীয়- সারমিন আক্তার। (খ গ্রুপ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী) প্রথম- মর্জিয়া খাতুন, দ্বিতীয় - তাসমিন, তৃতীয় - জান্নাতুল ফেরদৌস। ( গ গ্রুপ স্নাতক স্নাতকোত্তর) প্রথম - শামসুর রহমান,দ্বিতীয় মাসকুর মিম। চিত্রাংকন ( ক গ্রুপ শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি) প্রথম -শোভন রায় সচ্ছ, দ্বিতীয়- রোহিনী হাসান, তৃতীয়- দিপানিতা ও জাবিন খান। (গ্রুপ ক তৃতীয় থেকে সপ্তম শ্রেণী) প্রথম- আয়মান, দ্বিতীয়- সুমাইয়া আক্তার ও আদ্রিতা, তৃতীয়- তাফলিমা ও জাবিন খান। ৭ই মার্চ চিত্রাংকন ( ক গ্রুপ শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী) প্রথম- রেদওয়ান কবীর রাজ, দ্বিতীয়- শুভম রায় সচ্ছ, তৃতীয়- রোহিণী হাসান। (হ গ্রুপ তৃতীয় থেকে সপ্তম শ্রেণী) প্রথম -আয়মান কনিতা, দ্বিতীয় - তাফলিমা তৃতীয়- সমৃদ্ধা। আবৃতি ( ক গ্রুপ অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী) প্রথম - রুফাইদা আনজুম, দ্বিতীয় - তাওসিফ হোসেন, তৃতীয় -আদ্রিতা রহমান,চতুর্থ- মতিউর রহমান, পঞ্চম- আতিকুল হক। (গ্রুপ খ স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর) প্রথম -সুমাইয়া। মোট ২৯ ত্রিশ জনকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।