সোমবার, ৯ই পৌষ ১৪৩১, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪
BD NEWS LIVE 99
BD NEWS LIVE 99

ইসলামি বিধান অনুযায়ী যে বয়সে সন্তানের বিছানা আলাদা জরুরি

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্ক

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ সন্তান। সন্তানের মায়া মমতাই শান্তি দেয় পিতা-মাতাকে। সন্তানের ভালোবাসায় বাবা-মা সব ত্যাগ স্বীকার করেন। তবে সন্তানকে যদি সঠিক শিক্ষা না দেওয়া যায় তাহলে সেই সন্তানই অশান্তি বয়ে আনতে পারে পরিবারে।

সন্তানের উত্তম শিক্ষা ও তরবিয়তের ব্যবস্থা করা, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই সন্তানের লালন-পালনে যত্নবান হওয়া উচিত। কোরআন হাদিসের আলোকে সন্তানকে গড়ে তোলা উচিত।

অধিকাংশ বাবা-মায়েরা চিন্তিত থাকেন কোন বয়স থেকে সন্তানের বিছানা আলাদা করবেন বা কখন আলাদা করা উচিত।

আমর ইবনে শোয়াইব (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে নামাজ শিক্ষা দাও, দশ বছর বয়স হলে নামাজের জন্য তাদেরকে প্রহার কর আর তাদের পরস্পরের বিছানা আলাদা করে দাও।

(সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৫) হাদিসের সূত্রানুযায়ী, যখন সন্তানের বয়স দশ বছর হবে তখন তাকে আলাদা বিছানায় বা পৃথক করে শোয়ানোর ব্যবস্থা করা অত্যবশ্যক। এ বয়সের পর কোনোভাবেই একসাথে থাকা যাবে না। যখনই বয়স সাত বছর হয়ে যাবে, তখন থেকেই আলাদা থাকার বিষয়ে তাগিদ ও ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

প্রথমে বাবা-মায়ের কক্ষে ছোট একটি খাটের মাধ্যমে তাদের ঘুমানোর ব্যবস্থা করবে। পরে আস্তে আস্তে পৃথক কক্ষে শিফট করবে। এভাবে আলাদা বিছানায় রাখবে। দশ বছর বয়সের পর যদিও বাবার সাথে ছেলের ও মায়ের সাথে মেয়ের শোয়ার অবকাশ আছে। তবে এক্ষেত্রেও আলাদা থাকার সুযোগ থাকলে একসাথে থাকা উচিত নয়।

কিছু বর্ণনায় সাত বছরের কথাও এসেছে। সেই হিসেবে সাত বছর বয়স হলেই বিছানা পৃথক করা সতর্কতা। তবে সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত অবকাশ আছে। দশ বছর হয়ে গেলে বিছানা পৃথক করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরেও তা না করলে গুনাহ হবে।

আমাদের সমাজের অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্বহীন মনে করেন যা সরাসরি সুন্নাহ পরিপন্থি। এ হাদিসের আলোকে ফকিহরা বলেন, দশ বছর হলে সন্তানদের বিছানা পৃথক করে দেওয়া ওয়াজিব। এ বয়সে বাবার সাথে মেয়েদের ও মায়ের সাথে ছেলেদের একই বিছানায় শোয়া নিষিদ্ধ। ছেলে ও মেয়েদের এক বিছানায় শোয়া নিষিদ্ধ, ছেলেদের পরস্পর ও মেয়েদের পরস্পর এক বিছানায় শোয়াও নিষিদ্ধ।

তবে মায়ের সাথে এক মেয়ের বা বাবার সাথে এক ছেলের ঘুমানো জায়েজ। আর মেয়েদের বিছানা বাবা ও ছেলেদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হওয়া জরুরি।

ওই ক্ষেত্রে শুধু দূরত্ব বা বালিশের আড়াল গ্রহণযোগ্য নয়। (আদ্দুররুল মুখতার, রদ্দুল মুহতার: ৬/৩৮২) বিছানা পৃথক হওয়া মানে প্রত্যেক সন্তানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রুমের ব্যবস্থা করে দিতে হবে তা নয়। বরং এক রুমে ভিন্ন খাট, চকি বা ভিন্ন বিছানার ব্যবস্থা করলেও হবে।

একান্ত অপারগতার ক্ষেত্রে ছেলেদের এক খাটে শোয়ার ব্যবস্থা করা যায়, তবে তাদের মাঝখানে যেন যথাযথ দূরত্ব থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

Share:
মন্তব্য সমুহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
আর্কাইভ

Follow Us

এলাকার খবর

ad

ফিচার নিউজ

১৫ই ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ১০:২২ / জাতীয়

ইজতেমা ময়দানেই জোড় করার ঘোষণা সাদপন্থিদের

১২ই ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ১১:০১ / জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা,

৫ই ডিসেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৫:২৬ / বিনোদন

সাবেক স্বামীর বিমান ছিনতাই, মুখ খুললেন সিমলা

১৩ই নভেম্বর ২০২৪ রাত ১১:৩৫ / রাজশাহী জেলা

জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস ধাদাশ টু মহাকাশ যাএা শুরু