নিউজ ডেস্ক
গ্যাংটক থেকে প্রায় খালি হাতে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন বলিউডের সত্তরের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা ড্যানি ডেনজোংপা। তাঁর জীবন সিনেমার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়; ৭৭তম জন্মদিনে আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে ড্যানির জীবনে আলো ফেলা যাক।
১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্যাংটকে জন্ম নেন ড্যানি; তাঁর আসল নাম থেরিং পিন্টসো ডেনজোংপা। তবে এই নামে তাঁকে কেউ চেনেন না। দার্জিলিংয়ের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। শৈশব থেকেই হিন্দি সিনেমা দেখতেন ড্যানি। একসময় বলিউডে অভিনয়ের ভূত চেপেছিল তাঁর মাথায়।
অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়েই পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় ভর্তি হন। পড়াশোনা শেষ করে প্রায় খালি হাতে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান ড্যানি। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, কখনো জুহু বিচ, কখনো বা শিবাজি পার্কের বেঞ্চে শুয়ে রাত কাটাতেন তিনি। নিরাপত্তাকর্মীরা দূর দূর করলেও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে গেছে ড্যানি। অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার পর সহশিল্পী জয়া বচ্চনের পরামর্শে থেরিং পিন্টসো ডেনজোংপা নাম ছেঁটে ড্যানি ডেনজোংপা করেছেন তিনি। এই নামেই পরিচিতি পেয়েছেন এই শিল্পী।
‘জরুরত’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান। তবে ছবিটি মুক্তির আগেই গুলজারের ‘মেরে আপনে’ সিনেমায় চমক দেখান তিনি। এই সিনেমায় ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন ড্যানি। পরে খলচরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেন ড্যানি। ভয়ংকর সব চরিত্রে হাড় হিম করা অভিব্যক্তিতে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। খল চরিত্রের পাশাপাশি ‘বন্দিশ’, ‘ফির ওহি রাত’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘পুকার’, ‘অগ্নিপথ’-এর মতো দেড় শতাধিক ছবিতে পার্শ্বচরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানেও ভূষিত করে।