গোমস্তাপুর প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমাস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের বসনীটোলা গ্রামে ফয়সাল আহমেদ সোহেল রানা ও তাঁর ৬ বছরের শিশু কন্যাকে অপহরণ করে অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বসনীটোলা গ্রামের মোঃ শরিফুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ সোহেলের বাড়ীর সাবেক কাজের মেয়ে শালমা বেগম, সোহেলের চাচা মাহমুদুল হাসান মুনমুন, প্রতিবেশী রায়েশা বেগম প্রমুখ সহ স্থানীয় গণ ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আপন ভাই ফয়েজ আহমেদ সুজন , বাবার সম্পদের ভাগ না দেওয়ার জন্য ছোট ভাই ফয়সাল আহমেদ সোহেল ও তার ৬ বছরের মেয়ে ফামিহা ফেরদৌসকে গত দুই মাস আগে অপহরণ করেন সুজন ও সুজানের চাচা নেতাউর রহমান, অপহরণের পর সোহেলের মামা রাজশাহীর একটি রিহাব সেন্টার থেকে উদ্ধার করেন, সোহেল ও তার মেয়েকে, উদ্ধারের পর সোহেল ও তার মেয়েকে তাদের নিজ বাসায় রেখে যান সোহেলের মামা রেখে যাওয়ার কিছু দিন পর আবারও তাদের অপহরণের চেষ্টা করেন সুজন ও তার চাচা নেতাউর রহমান। সোহেলের দাবি ঘটনার বিষয়ে গত ২ মাস আগে গোমাস্তাপুর থানায় অভিযোগ হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, এনিয়ে আবারও অপহরণের আতঙ্কে রয়েছেন সোহেল ও তার ৬ বছরের মেয়ে ফামিহা ফেরদৌস।
ফয়সাল আহমেদ সোহেল বলেন, গত ২ মাস আগে আমাকে মিথ্যা মাদকাসক্ত বানিয়ে, জোর পূর্বক রাজশাহীর একটি রিহ্যাব সেন্টারে রেখে, আমার মেয়েকে জিম্মি করে আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় আমার বড় ভাই সুজন, আমাকে আমার বাবার সম্পদের ভাগ না দেওয়ার জন্য তিনি এভাবে আমার ও আমার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন, সুজন ও নেতাউর রহমান, আমি আমার বড় ভাই ও চাচা নেতাউর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে ফয়েজ আহমেদ সুজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ফয়সাল আহমেদ সোহেল রানা, ছিনতাইকারী, এবং মানসিক রোগী, হওয়ায়, আমার মা বেগম ফেদৌসি, সোহেল রানাকে ভালো করার জন্য রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করেন, গত দুই মাস আগে আমার মামার সহযোগিতায় তার সাবেক স্ত্রী রিহ্যাব সেন্টার থেকে তাকে নিয়ে যায়। আমার মা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল, সোহেল আমার মা'কে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন, বাড়িটি আমার মায়ের নামে হওয়ায়, তিনি বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নাই।
ঘটনার বিষয়ে গোমাস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি, খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,অপহরণের বিষয়ে লিখিত এজাহার হয়েছে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে পুলিশ রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হবে