নিউজ ডেস্ক
আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত হাজার হাজার বৃক্ষ ধ্বংস করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছ লাগানোর আহ্বানও জানান তিনি।
বুধবার (৫ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গাছ লাগায় কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তা ধ্বংস করে। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব, তা থেকে দেশকে আমরা মুক্ত করতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা সবুজ আচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই তিনি সেখানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করেন। বৃক্ষরোপণের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতে যে ঝাউবন সেটি জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের দ্বীপ অঞ্চল, বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানে প্রত্যেক প্রজাতির পশুপাখি জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করে দিয়েছিলেন।
বর্তমানে বিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ মরুময়তার ঝুঁকিতে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে মরুময়তা ও খরা প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি আমরা। লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি, এটায় সফলতা পেয়েছি। খরা সহিষ্ণু এবং জলমগ্ন সহিষ্ণু ধানের জাত নিয়েও গবেষণা করছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। আশা করি, এটিতেও সফলতা আসবে। অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে বিকল্প ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক বনায়নে মাত্র ৩০ ভাগ লভ্যাংশ পাওয়া যেত, এখন এটা ৭০ ভাগ করে দিয়েছি। যার কারণে সবাই সামাজিক বনায়ন আন্তরিকতার সঙ্গে করে এখন। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২২টি এলাকা সংরক্ষণ করেছি। জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে মুজিব অ্যাকশন প্ল্যান করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১টি আইন, নীতি, বিধিমালা ও প্রবিধানমালা প্রণনয়ন করি। আমাদের ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি পরিবেশ রক্ষা করা। বৃক্ষরোপণ, বন সংরক্ষণ ও বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ২৫ ভাগ বনায়ন করতে পেরেছি। এরই মধ্যে ছাদ বাগান করার উপরও জোর দিয়েছি।
এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নিজের খাদ্য যোগানও দেওয়া যায়। ৮ কোটি ৩৮ লাখ চারা রোপণ করা হবে এ বছর।অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা অংশ নেন।