শাহিনুর রহমান সোনা,রাজশাহী ব্যুরো
মঙ্গল শোভাযাত্রা আর বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য নানা রকমের নাচ-গান আর রঙবেরঙের পোশাক পরে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রাজশাহীতে উদযাপিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ ও বর্ষবরণ-১৪৩১।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী, নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠী সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি পালন করেছে।
সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
নগরীতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজশাহী ও উদীচী রাজশাহী জেলা সংসদের আলাদা আলাদা বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রাও মানুষের নজর কাড়ে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ও উত্তরবঙ্গের নৃত্য শিল্পের জনক সংগঠন নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে নগরীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নগরীর রবীন্দ্র নজরুল মঞ্চে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত বাঙালী ঐতিহ্যের বিভিন্ন নাচ ও গানে মেতে ওঠেন।
নৃত্যগুরু হাসিব পান্নার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশা।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক, দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী ও ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন। সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ‘জাতীয় সংগীত’ ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির গর্ব এবং একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় অধ্যায়। মুঘল সম্রাট আকবর এ বাংলা সন প্রবর্তন করেন। এটি একটি সার্বজনীন সেক্যুলার উৎসব তাই বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য পয়লা বৈশাখ পালন অত্যন্ত জরুরি।”
এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক লিটন সরকার, উপ-সচিব(ভান্ডার) মোহা. দুরুল হোদা, মো. রবিউল ইসলাম এবং অতিথি শিল্পী হাসিনা বীথি।
বাঁশিতে মধুর সুর তোলেন উপ-সচিব (প্রশাসন) মো. ওয়ালিদ হোসেন এবং চমৎকার নৃত্য পরিবেশন করে শিশু শিল্পী লাইবা জেমিমা।