সোমবার, ৯ই পৌষ ১৪৩১, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪
BD NEWS LIVE 99
BD NEWS LIVE 99

কারাগারে আটক মনিকে অব্যাহতি ও মুক্তির দাবি

ছবি: রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন

শাহিনুর রহমান সোনা,রাজশাহী

রাজশাহীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, কারাগারে আটক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এনামুল হক মনি ন্যায়বিচার পাননি। এনামুল হক মনি এজাহারভুক্ত আসামি না হয়েও এবং অন্য আসামিদের জবানবন্দীতে সুনির্দিষ্টভাবে তার নাম-পরিচয় ও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়া গেলেও সাজাভোগ করছেন। শুধুমাত্র নামের আংশিক মিল থাকায় পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে তার সম্পর্কে যেভাবে তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে তা নিয়েও ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া এবং রহস্যজনক কারণে এনামুল মনিকে সাজাভোগ করতে হচ্ছে। তাই ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে এনামুল হক মনিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে দ্রুত তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সাজাপ্রাপ্ত মনির পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা এই দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য মো: আসাদুজ্জামান। এতে অন্যদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এনামুল হক মনির সহোদর ভাই সোনামুল ইসলাম, ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি খয়বর ইসলাম (পচা), চাচাতো ভাই ফজলুল হক, দুই দুলাভাই ইয়ানুচ আলী ও মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এনামুল হক মনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মহননগর প্রামের মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনামুল হক মনি জনৈক আবু ইছা ওরফে এনামুলের সাথে নামের আংশিক মিলে (অপরাধের সাথে নূন্যতম জড়িত থাকার প্রমাণ না থাকা সত্বেও) জেএমবির মামলায় ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে আজ প্রায় এক যুগ ধরে বিনাদোষে কারাগারে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন। এনামুল হক মনি সাংবাদিকতা পেশার সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় দুইজন দোষ স্বীকারোক্তিকারী আসামির মধ্যে শুধুমাত্র একজন আসামি হাসান আলী ওরফে ইখওয়ান তার জবানবন্দীতে সুনির্দিষ্টভাবে কেবলই একজন এনামুলের (আবু ইছা ওরফে এনামুল) জড়িত থাকার দাবি করা হয়। কিন্তু নামের আংশিক মিল থাকায় রহস্যজনক কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই একজন এনামুলের স্থলে (আবু ইছা ওরফে এনামুল) দুইজন এনামুলকে জড়িয়ে চার্জশীট দেয়। এ নিয়ে চার্জশীটে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল ২০০৯ সালের ২২ মার্চ উভয় এনামুলকেই যাজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।

এতে আরো বলা হয়, দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে সাজাপ্রাপ্ত এনামুলদ্বয়ের একজন হলেন প্রকৃত আসামি আবু ইছা ওরফে এনামুল। তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার চরলক্ষীপুর গ্রামের আব্দুল করিম আকন্দের ছেলে। আর আরেকজন হলেন (মামলার ভিকটিম) এনামুল হক মনি। বর্তমানে উভয় এনামুলই কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে সাজা খাটছেন। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত এনামুল হক মনির ভাই সোনামুল ইসলাম।

তবে এ ব্যাপারে মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Share:
মন্তব্য সমুহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
আর্কাইভ

Follow Us

এলাকার খবর

ad

ফিচার নিউজ

১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুর ০১:৪১ / জাতীয়

জাতীয় পতাকা বুকে নিয়ে জামিয়া আরাবিয়া নুরুল ইসলাম…

১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুর ০১:২৫ / বিনোদন

দেড় দশক পর বিজয়ের উৎসবে একসঙ্গে ওরা চারজন

১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুর ০১:১৪ / আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নরের সঙ্গে কংগ্রেসের বৈঠক

১৫ই ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ১০:২২ / জাতীয়

ইজতেমা ময়দানেই জোড় করার ঘোষণা সাদপন্থিদের

১২ই ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ১১:০১ / জাতীয়

তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা,

৫ই ডিসেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৫:২৬ / বিনোদন

সাবেক স্বামীর বিমান ছিনতাই, মুখ খুললেন সিমলা

১৩ই নভেম্বর ২০২৪ রাত ১১:৩৫ / রাজশাহী জেলা

জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস ধাদাশ টু মহাকাশ যাএা শুরু