নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় কিছু প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইজান বেওয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাদ্রাসার নামীয় সোয়া তিন বিঘা জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল করে যাচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গণেশপুর ইউপির দক্ষিণ শ্রীরামপুর আইজান বেওয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায়।
অভিযুক্তরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নের ভুতুলিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আলতাফ হোসেন, মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত মনসুর আলীর ছেলে আনিসুর রহমান, মৃত রিয়াজুদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার পরিচালনা টকমিটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল মালেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ১৯৭৯ সনে হাফেজিয়া মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। এরপর ১৯৮০ সনে গোবিন্দপুর এলাকার আইজান বেওয়া গবিন্দপুর মৌজায় তার নামীয় ১১৭ নং হাল খতিয়ানের ৪০১, ৪০২, ৪০৩, ৪০৪, ৪০৫, ৪০৬ ও ৭০৮ দাগে ছয় বিঘ জমি দান করেন।
এরপর থেকেই জমি উক্ত দানকৃত জমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভোগদখল করে আসছিলেন। এরপর অভিযুক্তরা বর্গাচাষী হিসেবে জমিগুলো চাষাবাদ ও ভোগদখল করাকালে ২০১৮ সনের দিকে সোয়া ৩ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উল্লেখিত দাগে মাদ্রাসার জমি আছে কিনা আমাদের জানা নেই।
তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যদি কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে জমি ছেড়ে দিবো। পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম ওরফে সুজা ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল মালিক জানান, ১৯৮০ সালে আইজান বেওয়া মাদ্রাসার নামে ছয় বিঘা জমি দান করেন।
এরপর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসা উক্ত জমিগুলো ভোগদখল করে আসছিল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে অভিযুক্তরা জমিগুলো জবরদখল করে চাষাবাদ করে আসছেন। মাদ্রাসাকে ফসলের কোন অংশ দেয়না।
এবিষয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক মাধ্যমে জমি ছেড়ে দিতে বললেও, তারা জমি ছেড়ে দেয়নি।
এব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, মাদ্রাসার জমি জবর দখলের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান তিনি।