পাভেল ইসলাম, রাজশাহী
রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম কলেজের সামনে থেকে এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নগরীর মতিহার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জহুরুল হোসেন রেন্টু (৩৫), ইসমাইল হোসেন (৩০) ও রাসেল (৩২)। জহুরুল রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডী কড়ইতলার মৃত খয়রাত আলীর ছেলে, ইসমাইল হোসেন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মাছপাড়ার সারোয়ার হোসেনে ছেলে ও রাসেল রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুরের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নগর পুলিশ জানায়, জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার পুনট পূর্বপাড়ার আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে তামিম বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩ টায় তামিম তার বান্ধবীকে সঙ্গে তালাইমারী থেকে অটোরিকশায় সাহেব বাজার যাচ্ছিেলন।পথেমধ্যে মতিহার থানার তালাইমারী এলাকা হতে জহুরুলসহ আরও দুইজন ইসমাইল হোসেনের অটোরিকশা নিয়ে তাদের রিকশার পিছু নেয়।
বিকেল ৩ টায় বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজের সামনে পৌঁছালে তারা তামিমকে জোর করে রিকশা থেকে নামিয়ে অপহরণ করে রানীনগর এলাকার তালাইমারী তিন রাস্তার মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা তামিমের বাবার নিকট মোবাইল ফোনে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ইতোমধ্যে তার বান্ধবী পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে।
সংবাদ পেয়ে নগরীর মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোবারক পারভেজের দিকনির্দেশনায় মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম অপহরণকারীদের ধাওয়া করে। পরে রুয়েট ফ্লাইওভারের কাছ থেকে জহুরুল ইসলাম রেন্টু ও রিকশা চালক ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে ও তামিমকে উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারের সময় দুই অপহরণকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় অপহরণকারীদের অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি জহুরুল ইসলাম রেন্টুর বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি ,সরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রতারণা করার অপরাধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে এবং এছাড়াও পলাতক অপর দুই অপহরণকারীর বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা দায়ের করা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে অপর ব্যক্তি রাসেলকে ওই দিন রাত ১১ টায় তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে। রাসেলের বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা ও বোয়ালিয়া থানায় ২টি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।