নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় দূর্নীতিবাজ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান উজ্জলের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১০ জন ইউপি সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) পরানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউপি সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
দূর্নীতিবাজ সদ্য পদত্যাগকৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান উজ্জল ৩নং পরানপুর ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব করে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেক ইউপি সদস্যদেরকে প্রকল্পের সভাপতি করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে চেক স্বাক্ষর করে নিতেন তিনি। সকল প্রকল্পের কাজ নিজেই করতেন।শাসিয়ে বলতেন পরিষদে এসে স্বাক্ষর করে চলে যাবেন।বেশি মাথা মারবেন না। এভাবেই চলে তার অনিয়ম দূর্নীতি।গঠন করেছিলেন তিনি বাহিনী।মুখ খুললেই বিপদ।বাহিনীর অত্যাচারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
এভাবে সকল প্রকল্প কাজে অনিয়ম করে আসছিলেন।
সম্প্রতি পরিষদের সংস্কার কাজে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সংস্কার কাজ ঠিকাদারের নিকট থেকে মাত্র ২ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন।এরপর মাত্র এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে শুধুমাত্র রঙের কাজ করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া এলজিএসপির বরাদ্দকৃত অর্থের কোনো কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজির চাল চেয়ারম্যান উজ্জল তার নিজস্ব লোকদের দিয়ে কিনে পরে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করেন। এ ছাড়া টিসিবি ও ভিজিডির চাল বিতরণ ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিময় করেন এই চেয়ারম্যান।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, এডিপি, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের অনুকুলে বরাদ্দকৃত অর্থও নয়ছয় করা হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স হতে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। পরানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামরুজ্জামান সরদার বলেন, ‘গোপালপুর হাটের উন্নয়নের জন্য ৮ লাখ টাকা ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। কাজ না পুরানো সেডে চুনকাম ও দুই বস্তা সিমেন্ট গোলা দিয়ে মেঝের কাজ করে সমুদয় অর্থ লুটপাট করেছেন।হাটের সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পে আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ দুটি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৪ লাখ টাকা। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হলেও ড্রেন নির্মাণ কাজটি এখন পর্যন্ত করা হয়নি। অথচ দুটি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকারও কোনো হদিস নেই।
এ প্রসঙ্গে পরানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান উজ্জল বলেন,যেসব প্রকল্প কাজের অভিযোগ তুলেছেন। সেসব প্রকল্প কাজের সভাপতি তারা নিজেরাই। আমি কোন অনিয়ম দূর্নীতি করিনি।