নিউজ ডেস্ক
রাজশাহীকারাগারে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ওমর কিসকুকের (৩১) আত্মহত্যার ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওমর কিসকু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
রাজশাহী বিভাগের কারা উপ মহাপরিদর্শক কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর রাত সোয়া ১০টার দিকে সেলের দরজার উপরের অংশের লোহার পাতের সঙ্গে পাজামার ফিতা লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহী বিভাগের কারা উপ মহাপরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, কারা অভ্যন্তরে আত্মহত্যার খবর জানার পরই এনিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের জন্য এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হিসেবে আমি রয়েছি। এছাড়া সিরাজগঞ্জ জেল সুপার এএসএম কামরুল হুদাকে সদস্য এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারের জেলার জাকির হোসেনকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের কারা উপ মহাপরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, ইতিমধ্যে কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন কারা মহাপরির্শককে জানানো হবে। এরপর তিনিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ঘটনার পেছনে কারাগারের কারো দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। তবে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার সময় সেলের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী জোবায়ের আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার ইনচার্জ সহকারী প্রধান কারারক্ষী আব্দুল জলিল ও সেলের কর্তব্যরত কারারক্ষী জোবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শিমলাদিঘীপাড়া এলাকার সাহেব কিসকুর ছেলে ওমর কিসকু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩) (সং/০৩) ধারায় ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৯৪ ধারায় ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয় ২০১২ সালের ১৬ মে। এই মামলায় ২০১১ সালের ১৫ জুলাই গ্রেপতারের পর থেকে তিনি রাজশাহী কারাগারে ছিলেন। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট তিনি কারাগারের পেরিমিটার ওয়াল টপকে জেল থেকে পালিয়ে যান। তবে ওই দিনই তিনি ধরা পড়েন। এর পর থেকেই ওমর কিসকু রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সেলে বন্দী ছিলেন।