নিউজ ডেস্ক
জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আগে বাবার মৃত্যু হলে তার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে দাফনে বাধা সৃষ্টি করেন তারই ছেলে।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পৃথক স্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলা সদরের চাপড়া যাদুরহাট বাটুলটারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায় বার্ধক্যজনিত কারনে শুক্রবার ভোরে মারা যান ওই গ্রামের মজিবুর রহমান (৬৩)। সংসারে তার দুই স্ত্রী রয়েছেন।
মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই শতাংশ এবং ওই স্ত্রীর ছোট ছেলেকে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। অন্যদিকে প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিক ভাবে তিন শতাংশ জমি প্রদান করেন বাবা মজিবুর রহমান।
কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আগেই মজিবুর রহমান মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিন ছেলেকে মৌখিকভাবে দেওয়া জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় লাশ আটকে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন ছেলে নওশাদ আলী। স্বজনরা অনেক চেষ্টা করে সে কাজ থেকে তাকে নিবৃত্ত করতে না ফেরে পুলিশে খবর দেন।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অন্যত্র দাফন করা হয় মজিবুর রহমানকে। স্থানীয় চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ওয়ার্ড সদস্য মাহাবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
পরে থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃত মজিবুর রহমানের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।