মোঃ মাহফুজ আলী
ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা বটতলা গ্রামের জিয়াউল হক ফেরি করে দই বিক্রির কষ্টার্জিত অর্থে বাড়িতে পাঠাগার স্থাপন করেছেন।
সমাজসেবায় অবদান রাখায় বেসামরিক পর্যায়ে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন দই বেঁচে বই বিতরণ করা চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিয়াউল হক। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক নিয়েছেন তিনি।
জিয়াউল হক অর্থের অভাবে ১৯৫৫ সালে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তার বাবা ছিলেন একজন গোয়ালা। বাবার পরামর্শে তিনি দই বিক্রির কাজ শুরু করেন। তিনি নিজে পড়াশোনা করতে পারেন নি তার জন্য দই বিক্রি করে দারিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান।
১৯৬৯ সালে নিজ বাড়িতেই গড়ে তোলেন জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার। শুধু পাঠাগারই নয়, দারিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বইও কিনে দিতেন। অসহায় অভাবগ্রস্থ মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করতেন। পাশাপাশি অনেক দারিদ্র পরিবারকে ঘরবাড়ি করে দিয়েছেন। ১৭টি টিউবয়েল স্থাপন করেছেন। নানা প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন জিয়াউল হক। সামাজিক কাজে তিন কোটি টাকারও বেশি খচর করেছেন তিনি।
তিনি দই বেচে বই কিনে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন এবং গরিব ছাত্রদের মাঝে বই বিলি করে "সাদামনের মানুষ" হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন।
জিয়াউল হক বলেন, "বেচি দই কিনি বই" ভালো কিছু করলে ভালো কিছু পাওয়া যায়, আমাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সম্মান জানানো হয়েছে এটাতে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। এ বয়সে একুশে পদকের মতো এত বড় সম্মান পেয়ে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।।