চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের যুক্ত করা হয়। গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ছত্রাজিতপুর গোরস্থান মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আওয়ামী লীগ কর্মী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক তারিফ মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুস সালাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সত্রাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম ও দানেস প্রমুখ।
এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সোনামসজিদ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের সত্রাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ মো.ফারুক হোসেন মিন্টু বলেন, এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আপাতত আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে বিএনপি, জামায়াত ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু লোক আছে। যাদের নিয়ে বিতর্ক আছে তাদের বাদ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত বলেন, অতীতে যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত, আওয়ামী রীগের দোসর হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বির্তকিত লোকজনদের দিয়ে আস্থা ফিরে আসবে না। অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থক বা দোসরদের স্থান দিলে সুফল মিলবে না।
তিনি আরও বলেন, ছত্রাজিতপুর বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটি পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রেখে কঠোর হস্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে হবে।
শিবগঞ্জ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি। কাউকে আটক করা যায়নি। সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি হয়েছে, বিয়য়টি পুলিশের নজরে নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে ছত্রাজিতপুর এলাকার একটি চায়ের দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।