নিউজ ডেস্ক
গাজীপুরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী রাশেদুজ্জামান মাসুমদের সঙ্গে জমি নিয়ে স্থানীয় হারুন অর রশিদদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। শনিবার (২১ এপ্রিল) সকালে হারুন ও তার স্বজনরা ওই জমি মেপে সীমানা চিহ্নিত করতে যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শটগান নিয়ে জামি মাপায় বাধা দেন মাসুম। এসময় বন্দুক হাতে হুংকার দেন তিনি। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনায় হারুন অর রশিদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে শটগান নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মহড়ার একটি ভিডিও এবং ছবি ইতোমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাসুম এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। বর্তমান কমিটিতে তার কোনো পদ নেই। মাসুম প্রকাশ্যেই তার কাছে থাকা শটগান নিয়ে ঘুরে বেড়ান। আরও পড়ুন: কোনো অপশক্তির কাছে যেন আমরা মাথা নত না করি: ইসি আলমগীর ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদ জানান, ওই এলাকায় তার নানা জমির উদ্দিন মুন্সি ও নানী শুকুর জান বিবি ১ একর ৪২ শতাংশ জমির মালিক। কিন্তু মাসুম গং ওই জমি দখল করে রেখেছে। এ নিয়ে বহুবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে।
বারবারই রায় তাদের পক্ষে এসেছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে গাজীপুর সদরের সহকারী কমিশন (ভূমি) অফিসে বিবিধ মিস মোকাদ্দমা দায়ের করি। এতে আমাদের পক্ষে রায়ও হয়।
শনিবার সকালে আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন সার্ভেয়ার দিয়ে ওই জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে মাসুম সশস্ত্র অবস্থায় বাধা দেয়। এক পর্যায়ে মাসুম বলে, ‘খুটি তোল, নইলে গুলি করমু’। সে আমার বুকে-মাথায় শটগানের নল ধরে। এ সময় আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে হত্যার হুমকি ও কিল-ঘুষি দেয়। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা অস্ত্র উঁচিয়ে আমাকে খুন কিংবা মামলায় জড়িয়ে জেল খাটানোর হুমকি দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদুজ্জামান মাসুম বলেন, আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি পৈত্রিক ওয়ারিশমূলে ওই জমির মালিক। তারা জমি জবরদখল করতে এসেছিল। এ সময় নিজের নিরাপত্তার জন্য গাড়ি থেকে লাইসেন্স করা ওই অস্ত্র হাতে নিয়ে সেখানে যাই। রাশেদুজ্জামান মাসুম দাবি করেন, তার ১২ বোরের শটগানটির লাইসেন্স আছে। লাইসেন্সকৃত অস্ত্রটি হাতে নিয়েই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করীম বলেন, এ ঘটনায় হারুন অর রশিদ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রদর্শন করা শটগানটি উদ্ধারের জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। অস্ত্রটির লাইসেন্স বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে সুপারিশ করা হবে।