নিউজ ডেস্ক
অনেক সময় শিশুর কান থেকে পুঁজ বা পানি পড়ে। এ সমস্যাকে সাধারণত কানপাকা রোগ বলা হয়। এটি শিশুদের সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। যে কোনো বয়সেই কানপাকা সমস্যা হতে পারে। তবে আমাদের দেশে শিশুদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়। আবার শহরের মানুষের তুলনায় নানা কারণে গ্রামের মানুষের মধ্যে রোগটি বেশি হতে দেখা যায়।
শিশুর কেন কান পাকে শিশুকে খাওয়ানোর পদ্ধতি সঠিক না হলে অনেক সময় এ রকম বিপত্তি ঘটে। যেমন অনেকেই শিশুকে চিত করে শুইয়ে খাবার দিয়ে থাকেন। এটি ঠিক নয়। এর কারণে অনেক সময় কানপাকার মতো সমস্যা হতে পারে। আবার যেসব শিশুর শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ হয়, অর্থাৎ যাদের প্রায়ই সর্দি-কাশি-গলাব্যথা বা এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, তাদের কানপাকার আশঙ্কা বেশি থাকে। টনসিলের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে কান পাকতে পারে।
যেভাবে বুঝবেন
কানে ব্যথা বা ভারী অনুভব হওয়া কানপাকার অন্যতম লক্ষণ। কিছুদিন কানেব্যথা বা অস্বস্তি হওয়ার পর হঠাৎ করে কান থেকে পুঁজ বা অন্য কোনো ধরনের তরল বের হয়ে আসতে পারে। ছোট শিশুরা ব্যথায় কান্নাকাটি করতে থাকে।
প্রতিকার ও প্রতিরোধ
শিশুর কান থেকে যদি কোনো তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে, তাহলে তার কান পরিষ্কার করে দিতে হবে। তবে কান পরিষ্কার করতে গিয়ে কানে খোঁচাখুঁচি করা যাবে না, এতে শিশু কানে আঘাত পেতে পারে। কানে ব্যথা থাকলে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। শিশুকে কানে ব্যবহার করার ওষুধ দিতে হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ শিশুর কানে দেবেন না। শিশুর কান পাকলে গোসলের সময় তার কানে অবশ্যই তুলা গুঁজে দেবেন, যেন কানে কোনোভাবেই পানি না ঢোকে। অন্য খাবার খাওয়ানো যাবে না। এমনকি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও মাথার দিকটা সামান্য উঁচু করে ধরে রাখা উচিত।
হতে পারে জটিলতা
কানপাকা একটি সাধারণ রোগ। তবে দীর্ঘদিন ধরে যদি এ রোগে শিশু ভুগতে থাকে এবং যদি তার চিকিৎসা না করানো হয়, তাহলে পরবর্তী সময় শিশু বধির হয়ে যেতে পারে। কান পাকলেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের জটিলতা হয় না।
কিছু শিশুর একবার কানপাকা ভালো হয়ে গেলেও বারবার কান পাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।