নিউজ ডেস্ক
এমন অনেকে মানুষই আছেন, যারা প্রতিনিয়ত হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন। তাদের প্রায়ই শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। এ কারণে তারা না ঘরে শান্তি পান, আবার বাইরে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়েন। বায়ুদূষণের কারণে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। হাঁপানি তার মধ্যে অন্যতম।
মূলত শ্বাসনালীতে প্রদাহের কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানি হয়। এতে শ্বাসনালীর ভেতরে ফুলে যায়। অতিরিক্ত শ্লেষ্মা জমে শ্বাসনালীর ভেতরে ফুলে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ শুভাগত চৌধুরী বলেন, ‘হাঁপানি একটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ ৷ এর মূল উপসর্গগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া। হাঁপানি আসলে ফুসফুসের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রোগ। তাই উপসর্গগুলো ভালোভাবে চিনতে হবে। বেশি সমস্যা মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।’
হাঁপানির লক্ষণ:
১. বুকে কফ জমা।
২. শ্বাসের সময় বাতাস নিতে না পারা।
৩. শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া।
৪. শ্বাসকষ্টের কারণে রাতে ঘুম কম হওয়া।
করণীয়
১. সর্দি, বুক ব্যথা, বুকে শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট দীর্ঘস্থায়ী হলে বুঝতে হবে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের বাইরৈ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. হাঁপানির কার্যকর চিকিৎসা হলো ইনহেলার। প্রয়োজনে ইনহেলার ব্যবহার করুন। তবে তা চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করুন।
৩. চিহ্নিত করুন, কী কারণে আপনার হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অনেকের ধোঁয়া, পরাগরেণু, ঘরে–বাইরের ধুলার কারণে হাপাঁনি বাড়তে পারে। তাই এসব থেকে দূরে থাকুন।
৪. অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাবার যেমন–চিংড়ি, ইলিশ মাছ, বেগুনের কারণে অ্যাজমা বা হাপাঁনি হয়। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বিশিষ্ট চিকিৎসক ও অধ্যক্ষ শুভাগত চৌধুরী মনে করেন, বায়ুদূষণের কারণে হাপাঁনির ঝুঁকি বাড়তে পারে। অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম হাঁপানি রোগ। হাঁপানির বিষয়ে অনেকেই সচেতন না। এটা ঠিক না। হাঁপানির সমস্যাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। হাঁপানি গুরুতর অবস্থায় পৌঁছে গেলে হলে তা শঙ্কার কারণ হয়ে দাড়াঁয়। তাই প্রয়োজন বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।