নিউজ ডেস্ক
আমাদের দেশে পুকুর, খাল, বিল ও হাওরে পাওয়া যায় অনেক ধরনের মাছ। এসব মাছের মধ্যে পুষ্টিগুণে ভরপুর ছোট মাছও থাকে। আগের দিনে বয়স্করা ছোটদের ছোট মাছ খেতে বলতেন। এর কারণ মাথাসহ ছোট মাছ খেলে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও নিয়মিত ছোট মাছ খেলে পাবেন ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন উপকারী খনিজ উপাদান।
পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাসুমা চৌধুরী বলেন, ‘ছোট মাছ ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে অনেক বেশি অবদান রাখে। শরীরের বৃদ্ধি, টিস্যু মেরামত ও সুস্বাস্থ্যের সামগ্রিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য, যা আমরা সুলভ মূল্যে ছোট মাছ থেকে পেয়ে থাকি।’
খাওয়ার সময় বা পর পরই কি পানি পান করা উচিত?খাওয়ার সময় বা পর পরই কি পানি পান করা উচিত?
খাদ্যতালিকায় বড় মাছের পাশাপাশি যদি ছোট মাছ থাকে, তাহলে আপনি প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেলের চাহিদা পূরণ হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ছোট মাছের পুষ্টিগুণের কথা:
১. চোখের সমস্যার কারণে ছোটরা ভোগান্তিতে পড়ে। ভিটামিন এ–এর অভাবে প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু অন্ধ হয়ে যায়। মাথাসহ ছোট মাছ খেলে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
২. সুস্থ থাকার অন্যতম বিষয় হলো সুষম খাবার গ্রহণ। পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ছোট মাছ। তাই শরীরে সুষম খাবারের অভাব পূরণ করতে ছোট মাছ হতে পারে অতুলনীয় খাদ্য।
৩. শিশুর জন্মের আগে শারীরিক বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের প্রয়োজন। এ জন্য স্তন্যদানকারী মায়েদের ছোট মাছ খাওয়া প্রয়োজন।
গরুর দুধে অ্যালার্জি? জেনে নিন সাতটি বিকল্পগরুর দুধে অ্যালার্জি? জেনে নিন সাতটি বিকল্প
৪. ছোট মাছ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসে সমৃদ্ধ, যা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য ও দাঁত গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫. প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ তৈরির জন্য তাঁদের প্রতিদিনের খাবারে আমিষের প্রয়োজন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত আমিষের অভাবে বাড়ন্ত ছেলেমেয়েদের দৈহিক উচ্চতা বাধাগ্রস্ত হয়। ছোট মাছে এই আমিষের চাহিদা পূরণে ভালো কাজ করে। শিশু থেকে প্রবীণ সবাই নিশ্চিন্তে ছোট মাছ খেতে পারেন।