নাসিম আলী
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণা মুক্তিকামী মানুষের কাছে লাল-সবুজ পতাকাকে মূর্তিমান করে তোলে। আর এরই মাধ্যমে বাঙালির ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু হলেন একমাত্র নেতা, যিনি রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, সংস্কৃতিতে এবং জন্মে একজন পূর্ণাঙ্গ বাঙালি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে খেসবা আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেল ৩ টায় খেসবা স্কুল কক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খেসবা আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশনে প্রোগ্রাম মোঃ আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাচোল উপজেলা প্রোগ্রাম সুপারভাইজার নাসিরন আক্তার। উপজেলা প্রোগ্রামার সুপারভাইজার আরিফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রথমে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ঘোষণা উপস্থাপন করেন খেসবা আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম স্কুলের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান লিসা।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রোগ্রাম সুপারভাইজার জাহানারা খাতুন, খেসবা স্কুল কেন্দ্রের শিক্ষিকা মোসাঃ লিমা খাতুন, চন্দ্রাইল স্কুল কেন্দ্রের শিক্ষিকা আসামা খাতুন প্রমূখ। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতাই বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। ৭ই মার্চ ছিল বাংলাদেশের একটি সূচনার অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে জানলেই বাংলাদেশকে জানা হবে। সঠিক ইতিহাস জেনে ও বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ হোক আমাদের আজকের দিনের অঙ্গীকার। সভাপতি তার বক্তৃতায় বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর অবদান।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বাঙালির জাতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন।৭ই মার্চের অপ্রতিম ভাষণের গুরুত্ব সব দিক বিবেচনায় অনন্য এবং অসাধারণ। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।