শিবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ৪৯ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবুও ভোট কারচুপির আশঙ্কা করেছেন এক প্রার্থী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় ১৬৬টি কেন্দ্রে সকাল ৮টায় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। টানা ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এবারের উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের আগে ভোটগ্রহণে নিয়োজিত ৪৯ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এদের মধ্যে ৮ জন প্রিজাইডিং, ১৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ২৫ জন পোলিং অফিসার রয়েছে।
এদিকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের পরও কারচুপির আশঙ্কা করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ভোট শুরুর দুই ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিকদের কাছে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
সকাল ১০টায় উপজেলার জালমাছমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি করা হয়েছিল। আমার ভোটাররা আমাকে বলে আমরা যে আপনাকে ভোট দিলাম, সেই ভোট কোথায় গেলো? এবারও সেই আশঙ্কা রয়েছে। ভোটের আগে একজন সংসদ সদস্য ও তাঁর কর্মীরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।
এ সব বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। গত সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেখানে পরাজয়ের পর আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেন তিনি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জল হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের বদল করা হয়েছে। এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ। গোটা উপজেলাতেই সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটেনি।’