শাহিনুর রহমান সোনা,রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীতে মহানগর আ’লীগের ০৭ই জুন ঐতিহাসিক “৬ দফা দাবি” দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে কর্মসূচি পালন।
শুক্রবার (০৭ই জুন) সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর-এর সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে কুমারপাড়া দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে "৬ দফা দাবি" আন্দোলনের সকল শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন এবং ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।
এ সময় ডাবলু সরকার বলেন মূলত ৬ দফার মধ্যেই স্বাধীনতার বীজ বুনে ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আজীবন আন্দোলন সংগ্রামের লালিত একটি অংশ সেইদিন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস ঘোষণা করেছিলেন আজকের এই দিনে। বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “৬ দফা দাবি” পেশ করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬-দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক মুক্তির সনদ হিসাবে বাঙালি জাতি গ্রহণ করেছিলেন এবং সেই দিন বাঙালি জাতি শপথ নিয়েছিলেন আমরা পরাধীনতায় থাকবো না আমরা আমাদের নিজস্ব সত্তায় চলতে চায় বলে ৬ দফাকে সমর্থন করেছিলেন বাঙালি জাতি।
৬ দফা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলে গেছেন, নিরজাতিত হয়েছেন, গুলি চালিয়ে হত্যা করে দমানোর চেষ্টা করে তার পরেও তিনি থেমে থাকেনি এই ৬ দফার ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এই মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পায় বাঙালি জাতি।
এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা বসবাস করছি ইতিহাস কথা বলে ইতিহাসের বাকে বাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেই কারনেই আজকে স্বাধীন হয়েছিল এই বাংলাদেশ।
আর স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন একদিন বাঙালি সোনার বাংলাদেশ সোনার বাংলায় রুপান্তর হবে সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলায় রুপান্তর হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ তিনি নায় কিন্তু তারি কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে সেই সোনার বাংলায় রুপান্তর করার জন্য নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বিধায় আজকে আমরা উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বহির বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরি। সেই কারনে আজকের দিনে আমরা শপথ নিবো যতই স্বরযন্ত্র কারিরা স্বরযন্ত্র করুকনা কেন জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন এই বাংলাদেশকে পথ চলতে পথ দেখাবে ততদিন বাংলাদেশ তার পথ হারাবেনা এটিই আমরা বিশ্বাস করি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম বাবুল, বদিউজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-দফতর সম্পাদক পঙ্কজ কুমার দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, আশরাফ উদ্দিন খান, মুজিবুর রহমান, মাসুদ আহমেদ, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, আলিমুল হাসান সজল, খাইরুল বাসার শাহীন, জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ আলী জন, গৌতম দাস, মোতিহার থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক ইসলাম, শাহ মুখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ খান ফরহাদ, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফ হোসেন, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শাহাদত হোসেন বাদশা, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিপন্ন সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ সরকার সেডু,
১৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব শেখ, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসকিন পারভেজ সাতিল, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য মুরসালিন হক রাবু, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতানুর আরেফিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবেদ আলী, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) কৃষক লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান লিটন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রিমেল রিগেন, নয়ন কুমার ধর, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক নেতা আল আমিন প্রমুখ।