সারওয়ার জাহান সুমন
আমাদের সমাজে অসংখ্য অনিয়ম অসংগতির মাঝেও কিছু মানুষের মহত্ব আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। তেমনি মহানুভবতার পরিচয় দিলেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা। আসলাম ১২ বছর, পিতাঃ মৃত কালাম, বেগম নগর ২ নং ওয়াড গোমস্তাপুর ইউনিয়নে তার বাড়ি। ছেলেটি রহনপুর কাজিগ্রাম হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ালেখা হঠাৎ তার পেট ব্যথা হলে গত বুধবার গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার এপেন্টিসাইটিস ধরা পড়ে মেডিকেলের চিকিৎসক তাকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য রেফার করেন কিন্তু তাদের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে রাজশাহী যেতে পারছিল না চিকিৎসার জন্য । বিষয়টি একজন গণমাধ্যম কর্মীর নজরে আসলে তাৎক্ষণিক গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত করা হয়। তখন ছেলেটির পরিবারের সাথে কথা বলে গত শুক্রবার রহনপুর জেনারেল হাসপাতালে ছেলেটির এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার । ছেলেটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে তার বাবা বেশ কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বিল্ডিং থেকে পড়ে মারা যায় এরপর ছেলেটির মার অন্যত্র বিয়ে হলে দাদি চেন বানু (৭০) ছাড়া তাকে দেখার মত আর কেউ নাই। তখন ছেলেটিকে কাজী গ্রাম কলকলিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এতিমের পরিচয় ভর্তি করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন ছেলেটির কথা শুনে আমি তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে অপারেশনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আজ সোমবার জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছাড় পাচ্ছে আসলাম। জেনারেল হাসপাতাল এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমাদের ক্লিনিক থেকে তাকে যথেষ্ট রকম সহযোগিতা করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় তার সর্বক্ষণ খোঁজখবর নিয়েছেন। ক্লিনিকে গিয়ে আসলামকে দেখা যায় সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে এজন্য সে আনন্দিত। তার চিকিৎসার খরচ বহন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ধন্যবাদ জানাই।