নিউজ ডেস্ক
মোঃ রাতুল হাসান নিশান এর বক্তব্য
গলাচিপা উপজেলায় নুরুল হক নুর ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়ে, তাকে অবরুদ্ধ করে রেখে আপনারা নিজেদের আসল চেহারাটা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন।
আপনারা ভুলে গেছেন—নুর ভাই তিনি সেই মাটি ও মানুষের নেতা, যিনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গর্জে উঠতে পারেন: "সরকারের ৯০% পতন হয়ে গেছে—মাত্র ১০% বাকি, একটা ধাক্কাই যথেষ্ট!"
যে নেতা চোখের সামনে লাশ পরে থাকতে দেখে বলেছিল—"আমরা এই লাশের উপর দাঁড়িয়েই সরকার পতনের আন্দোলন চালিয়ে যাবো!"
তাকে অবরুদ্ধ করে আপনি কী প্রমাণ করলেন? যে আপনি ভীত? কাপুরুষ? হ্যাঁ, তাই তো!
আপনারা বলেছিলেন, আমরা নীতিগতভাবে একমত, কিন্তু আন্দোলনের সঙ্গে নেই—এটাই ছিল আপনাদের ধোঁকাবাজির শুরু!
জাতি আজ বুঝে গেছে—আপনারা আন্দোলনের পাশে নয়, দালাল হয়ে উঠেছেন।
আপনারা ষড়যন্ত্র করেন, পেছনে ছুরি মারেন, গোপনে চুক্তি করেন, আর সামনে এসে বলেন "আমরা নীতিগতভাবে একমত!"
মনে করিয়ে দিই—আমরা কে, আর আপনারা কী!
১৫ লাখ জনসমর্থন নিয়ে আপনারা যা পারেননি,
আমরা মাত্র ১৫ হাজার মানুষ নিয়ে তা করে দেখিয়েছি!
২০২৪ সালের মার্চে, যখন আপনারা নিজের অফিসে বন্দী,
আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের বের করে এনেছিলাম।
তারেক রহমান বলেছিলেন:
"আপনারা রাজপথে থাকুন, আমরা আছি পাশে!"
কিন্তু কিছুদিন না যেতেই, আপনারাই সবচেয়ে আগে রাজপথ ছেড়েছেন।
লজ্জা করেনা আপনাদের?
যারা ১৭ বছরেও একটা বালুর ট্রাক সরাতে পারেনি,
তারা আজ আমাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলেন:
"ওরা তো মাত্র ২০ জন!"
হ্যাঁ, আমরা ২০ জনই যথেষ্ট!
কারণ এই ২০ জনই দিনের পর দিন রাজপথে ছিল,
আর আপনারা ছিলেন পর্দার আড়ালে, সোফার নিচে,
---
⚔️ আপনারা মামলার ভয় দেখান? হামলার ভয় দেখান?
আমাদের নেতা-কর্মীরা ধর্ষণের মতো মিথ্যা মামলা জেল খেটে আন্দোলন চালিয়ে গেছে,
আর আপনাদের অনেক নেতা পুলিশকে টাকা দিয়ে নাটক করে গ্রেপ্তার হন,
যাতে বলা যায়—"আমি নির্যাতিত নেতা!"
আমি নিজে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির অনেক নেতাকে চিনি,
যারা পুলিশের সঙ্গে গোপন চুক্তি করে, আন্দোলন শুরু হলেই নাটক করে ধরা দেন।
মোঃ রাতুল হাসান নিশান
সদস্য যুব অধিকার পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ