শিবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নীতিমালা অনুযায়ী পাওয়া সরকারি জলকরে মাছ চাষ করে মাছ ধরতে বাধা ইজারা নেয়া মাছ চাষিকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পতিকার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিলিখ অভিযোগ করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের দারিগাছা/১৪ মৌজার ১৭৪১ নং দাগের ৬ দশমিক ৮১ একর কতুয়ালদিঘী ইজারা প্রাপ্ত মালিক মাছ চাষি মাহিদুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত বাংলা ১৪২৫ সাল গতে ১৪৩২ সন পর্যন্ত সরকারি বিধি মোতাবেক শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের দারিগাছা/১৪ মৌজার ১৭৪১ নং দাগের ৬ দশমিক ৮১ একর কতুয়ালদিঘী ইজারা রয়েছে। সেই সুবাদে বিভিন্ন প্রজাতি মাছ চাষ করে আসছে মাহিদুর রহমান।
সোমবার সকালে মাছ বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে জেলেদের নিয়ে মাছ ধরার জন্য দিঘীতে গেলে পূর্বশত্রুতার জেরে জলমহল/পুকুরটি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের হাউসনগর গ্রামের মৃত আদালত আলীর ছেলে মোঃ কামাল উদ্দিন, আব্দুল মান্নানের ছেলে শারিফুল ইসলাম, মোঃ সুজন আলী, আব্দুর রহিম, গেদু আলীর ছেলে বাবুল আলী, মৃত বজলুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিকসহ প্রায় ২০/২৫জন পুকুরে জাল নামাতে বাধা দেয়। এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ছিল। পুকুরে নামতে বাধা দেয়ার সাথে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয় তারা।
অভিযোগকারী কতুয়ালদিঘী ইজারা প্রাপ্ত মালিক মাছ চাষি মাহিদুর রহমান বলেন, আমি সরকারের কাছ থেকে নীতিমালা অনুযায়ী দারিগাছা/১৪ মৌজার ১৭৪১ নং দাগের ৬ দশমিক ৮১ একর কতুয়ালদিঘী ইজারা প্রাপ্ত হই। এই দিঘীটি বিগত বাংলা ১৪২৫ সাল গতে ১৪৩২ সন পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসা কায়দায় জোরপূর্বক দখলের জন্য হাউসনগর গ্রামের মৃত আদালত আলীর ছেলে মোঃ কামাল উদ্দিন, আব্দুল মান্নানের ছেলে শারিফুল ইসলাম, মোঃ সুজন আলী, আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে পুকুরে মাছ ধরতে বাধা দেয়। এছাড়াও কেছুদিন আগে বাজারজাত করার জন্য রাখা প্রায় ১৫ মণ মাছ পুুকুরে ফেলে দেয়। আমি এই সব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এবং আমাকে সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য অনুরোধ করছি।
এদিকে, অভিযুক্ত মোঃ সুজন আলী জানান, কতুয়ালদিঘী মাহিদুর নামে একজন লীজ নিয়েছিল। তার লীজ বাতিল হওয়ায় আমরা পাহাড়া দিচ্ছি। কাউকে মাছ ধরতে দেয়া যাবে না। তবে, মাহিদুর রহমান যদি আমাদের সাথে সমাধান করেন, তাহলে আমরা তাকে মাছ ধরতে কোন বাধা দিবো না।
এব্যাপারে দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড শাখা বিএনপির সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিনের সাথে ০১৭১৩৬৬৪১০৯ তার এই নম্বরে একাধিবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ আজাহার আলী বলেন, কতুয়ালদিঘী নিয়ে আদালতে মামলা জটিলতা রয়েছে। সে জন্য নতুন বছরে কোন লীজ দেয়া হয়নি। তবে, আগে যে ব্যক্তির নামে লীজ রয়েছে তিনি যদি দিঘীতে মাছ চাষ করে থাকেন তাহলে তিনি সে মাছ বাজারজাত করতে পারবেন। এতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। আর যদি কেউ মাছ ধরা কাজে বাধা দেয়, তাহলে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।